দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করুন
ইক্যুইটি মার্কেটে বিনিয়োগ করেই আপনি লাভের মুখ দেখবেন— এমন আশা ছাড়ুন। শেয়ার বাজারে প্রতি দিন সোনা ফলবে না ভেবেই এগোন। ফলে দ্রুত মুনাফা না হলেও ঘাবড়াবেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বল্প সময়ের জন্য নয়, লং টার্ম ইনভেস্ট করুন। এ ছাড়া, ডাইভার্সিফায়েড পোর্টফোলিও গড়ে তুলুন। মানে, শুধুমাত্র শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ না করে, এর সঙ্গে যোগ করুন এসআইপি, ফিক্সড ডিপোজিট, ইপিএফ-সহ নানা দিকে। অন্তত পক্ষে সাত বছরের জন্য বিনিয়োগ করলে লাভের মুখ দেখবেনই।
মন্দার বাজারেও নিয়মিত বিনিয়োগ করুন
শেয়ার বাজার চাঙ্গা হওয়ার অপেক্ষা বসে থাকবেন না। তেজি মার্কেটে মুনাফা বেশি হবে বলে অনেকে মন্দার সময় বিনিয়োগ করেন না। এই বদভ্যাসের জন্য অনেকেই ভাল রিটার্ন পান না। মোটাসোটা রিটার্ন পেতে হলে সঠিক সময়ের অপেক্ষা না করে নিয়মিত বিনিয়োগ করুন। জেনে রাখুন, বাজারের গতিপ্রকৃতি নিয়ে কোনও বিশেষজ্ঞই নির্ভুল ভবিষ্যৎবাণী করতে পারেন না। ফলে বাজারে মন্দা গেলেও বিনিয়োগ করে যান। নিয়মিত বিনিয়োগেই আখেরে লাভবান হবেন আপনি।
এসআইপি-র মাধ্যমে বিনিয়োগ করুন
দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পে এসআইপি-র মাধ্যমে বিনিয়োগ করুন। এক-দুই বছরের জন্য নয়, অন্তত পাঁচ থেকে ১০ বছরের জন্য এসআইপি করুন।
ব্যালান্স পোর্টফোলিও রাখুন
বাজারে মন্দার সময় শেয়ারের দাম পড়ে যায়। ঝুঁকি নেওয়ার ইচ্ছে থাকলে তবেই শেয়ারে টাকা ঢালুন। তিন থেকে ছ’মাসের মধ্যে ধীরে ধীরে বিনিয়োগ করুন। তবে টাকা ধার করে শেয়ারে ইনভেস্ট করবেন না। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে যদি কোনও গচ্ছিত টাকা আপনার কাজে না আসে একমাত্র সে টাকাই বিনিয়োগ করবেন।
বিনিয়োগের স্টাইল বদলান
আপনার পোর্টফোলিওর ৫০-৭০ শতাংশ লার্জক্যাপ ফান্ডে বিনিয়োগ করা উচিত। কেবলমাত্র ২০-৩০ শতাংশ মিড বা স্মলক্যাপ ফান্ডে বিনিয়োগ করবেন। কেবলমাত্র গ্রোথ ফান্ডেই বিনিযোগ করবেন না। ডিভিডেন্ট ইল্ড ফান্ডেও বিনিয়োগ করুন। অন্তত পক্ষে ১৫-২০ শতাংশ বিনিয়োগ করলে তবেই আপনার মূলধন সুরক্ষিত থাকবে।
আন্তর্জাতিক বাজারেও বিনিযোগ করুন
মুনাফা বাড়াতে একটু ঝুঁকি তো নিতে হবেই। ফলে দেশীয় বাজার ছেড়ে এ বার আন্তর্জাতিক বাজারেও ইনভেস্ট করুন। অন্তত পক্ষে ১০-১৫ শতাংশ ফান্ড ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে ঢালুন। তবে এ বিষয়ে না জেনে এগোবেন না।