বর্তমানে ভিপিএন ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বেশিরভাগ মানুষ যে উদ্দেশ্যে ভিপিএন ব্যবহার করেন প্রকৃতপক্ষে সে উদ্দেশ্যে এটি তৈরি করা হয়নি। ব্যবসা ও বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ককে সুরক্ষিত রাখার জন্যই ভিপিএন তৈরি হয়েছিল।
ভিপিএন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধাও রয়েছে। এসব সমস্যার কারণে ভিপিএন না ব্যবহার করাই উত্তম।
আজ আপনাকে জানাব যে ৫ কারণে ভিপিএন ব্যবহার করা ঠিক নয়-
ভিপিএন ব্যবহার করা অবৈধ: প্রায় সব দেশেই সাধারণ নাগরিকদের ভিপিএন ব্যবহার করা অবৈধ। অনেক দেশে ভিপিএন ব্লক করা রয়েছে। আপনি যদি এমন কোনো দেশে অবস্থান করেন যে দেশ ভিপিএন ব্যবহার করাকে নিষিদ্ধ করেছে, তবে আপনার অবশ্যই ভিপিএন ব্যবহার করা উচিত হবে না।
তথ্যের গোপনীয়তা নষ্ট হয়: ভিপিএন তৈরি হয়েছে তথ্যের গোপনীয়তা সংরক্ষণ করার জন্য। কিন্তু প্রকৃত অর্থে ভিপিএনে তথ্যের গোপনীয়তা থাকে না। ভিপিএন কোম্পানিগুলো ব্যবহারকারীকে নজরদারিতে রাখতে পারে এবং এর মাধ্যমেই তারা ব্যবসা পরিচালনা করে। তাই ফেসবুক, টুইটার বা অন্য কোনো ওয়েবসাইট ব্লক করে রাখা হলে ব্যবহারকারীদের কখনোই ভিপিএন ব্যবহার করা উচিত নয়।
ব্যবসায়ীদের জন্য নিরাপদ নয়: ব্রাউজার থেকে ব্যবহারকারীরা সহজেই ভিপিএন ডাউনলোড করতে পারলেও ব্যবসায়ীদের জন্য সেটি মোটেও নিরাপদ নয়। ভিপিএনের ব্যবসায়ী ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট তৈরিতে অনেক জটিলতা রয়েছে। ব্রাউজার ব্যবহার করে ভিপিএন ডাউনলোড করা একজন ব্যবসায়ীর পক্ষে মোটেই কল্যাণকর নয়।
ইন্টারনেট সংযোগ চলে ধীরগতিতে: যখন আপনি ভিপিএন নেটওয়ার্কে প্রবেশ করবেন তখন ভিপিএন সার্ভারে একাধিক স্তরের নিরাপত্তা বা প্রাইভেসি রাখা হয় এর মাধ্যমে যদিও ওয়েবসাইটে নিজের আইপি অ্যাড্রেস গোপন রেখে ঢোকা যায়, কিন্তু ইন্টারনেট সংযোগ ধীরগতিতে চলতে থাকে। অনেক সময় স্মার্টফোন ডিভাইস ধীরগতিতে চলে এবং মাঝেমধ্যে হ্যাং করে। তাই স্মার্টফোনে ভিপিএন ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
শতভাগ গোপনীয়তা অবলম্বন করা সম্ভব নয়: অনেকের ধারণা ভিপিএনে শতভাগ গোপনীয়তা অবলম্বন করা যায়। এটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। কারণ গুগল, ফেসবুকসহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের মতো ভিপিএন কোম্পানি ব্যবহারকারীর তথ্য নিয়ে তার পছন্দ ও রুচি অনুযায়ী কনটেন্ট সরবরাহ করে। ভিপিএনে তাই শতভাগ গোপনীয়তা অবলম্বন করা সম্ভব নয়।