পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, কানেক্টিভিটি, ব্যবসা-বাণিজ্য, করোনা মোকাবিলাসহ সামনের দিনগুলোতে নতুন নতুন বিষয়ে জোট রাষ্ট্রগুলো কীভাবে কাজ করবে সেসব বিষয় এবারের আলোচনায় প্রাধান্য পাবে। তবে বাংলাদেশ জোট রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, বহুমাত্রিক যোগাযোগসহ রোহিঙ্গা সমস্যার কথাও তুলবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘ আড়াই বছর পর বিমসটেকের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে বসছেন। ভার্চুয়ালি হলেও বৈঠকটি জোট রাষ্ট্রগুলোর বিভিন্ন উদ্যোগ এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
এদিকে, গতকাল (বুধবার) শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় অনুষ্ঠিত হওয়া বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জ্যৈষ্ঠ অফিশিয়াল মিটিং (এসওএম)-এ বিমসটেক সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনে ট্রান্সপোর্ট কানেক্টিভিটির জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যানের খসড়া প্রস্তুত করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করবেন। আশা করা হচ্ছে, আসছে শীর্ষ সম্মেলনে এটি চূড়ান্ত করা হবে।
বিমসটেক হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলংকা ও থাইল্যান্ডের সমন্বয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক জোট। সর্বশেষ ২০১৮ সালে বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর শীর্ষ সম্মেলন নেপালে অনুষ্ঠিত হয়। তার আগে ভারতে সংগঠনটির শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালে।
বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড এই চার দেশ নিয়ে ১৯৯৭ সালের ৬ জুন বিমসটেকের যাত্রা শুরু হয়। তখন সংস্থাটির নাম ছিল বিআইএসটি-ইসি। সংস্থাটি চালুর ছয় মাসের মাথায় মিয়ানমার এতে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত মন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিতীয় বৈঠকে নেপালকে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা দেওয়া হয়। ২০০৩ সালে নেপাল ও ভুটানকে সংগঠনটির পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়া হয়। ২০০৪ সালে সংগঠনের প্রথম আনুষ্ঠানিক শীর্ষ সম্মেলনে নেতারা সংগঠনটির নাম পরিবর্তনের পক্ষে মত দেন। তারপর থেকে আন্তর্জাতিক এই সংগঠনটি বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল এন্ড ইকনমিক কোঅপারেশন বা বিমসটেক নামে পরিচিত।