রমজান শুরুর আগেই বেড়েছে সব ধরনের ফলের দামও। সাগর কলার ডজন ১৩০-১৪০ টাকা, চম্পা কলা ৬০-৭০ টাকা, বাংলা কলা ৭৫ টাকা, বেল আকারভেদে প্রতিটি ৬০-১০০, পেয়ারা কেজি ১০০, আনারস প্রতিটি ৩০-৬০, তরমুজের কেজি ৪০ টাকা এবং সবুজ আপেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দামে।
গত সপ্তাহের চেয়ে বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সব মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ১০০ টাকা। হাতিরপুলে ব্রয়লার মুরগি ১৬০ থেকে বেড়ে ১৮০ টাকা, সোনালী জাতের মুরগি কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ৩৮০ টাকা, দেশি জাতের মুরগির কেজি ৪৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২২০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। সব ধরনের মুরগির সাপ্লাই চাহিদার তুলনায় কম। এ কারণেই মুরগির দাম বেড়েছে বলে জানান, হোসেন চিকেন হাউজের মালিক আবুল হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) নিউমার্কেট পাইকারি চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের চালের দাম কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা কমেছে। আজকের বাজারে নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৬৩-৬৫ টাকায়। অথচ গত সপ্তাহে ছিল ৬৮-৭০ টাকা কেজি। মিনিকেট ৬৩-৬৪ থেকে কমে আজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকায়, আটাশ চাল গত সপ্তাহে ছিল ৫২-৫৩ টাকা, আজকের দাম ৪৯-৫০ টাকা। মোটা চালও কেজিতে ২ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকায়।
মাছের বাজার অনেকটা স্থিতিশীল আছে। নিউমার্কেট মাছ বাজারে দেখা যায়, রুই বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩০০-৩৫০ টাকা, বড় কাতল ৩৫০-৪০০ টাকা, চিংড়ি বড় ১০০০ টাকা, মাঝারি ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ১৩-১৪- টাকা, বাতাসি মাছ প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, বাইম মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, শিং (দেশি) ৮০০ টাকা, বোয়াল ৪০০ টাকা, টেংরা ৪০০-৪৫০ টাকা এবং শোল মাছ ৪৫০-৫০০ টাকা করে বিক্রি করছে। এছাড়া মাঝারি আকারের রূপচাঁদা মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়।
ভোজ্য তেলের দাম গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে। আজকের বাজারে সরকারিভাবে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া মূল্যেই কোম্পানি ভেদে প্রতি লিটার ১৩৫-১৪০ টাকা, ২ লিটার ২৬৮-২৭৫ এবং ৫ লিটার সয়াবিন তেল ৬৩০-৬৮৫ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর হাতিরপুল, নিউমার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০-৪৫ টাকা, বেগুন (গোল) ৭০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটা ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ২৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা। আগামী সপ্তাহ থেকে রোজার কারণে আলু, বেগুন আর পিঁয়াজের দাম বাড়বে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে আলু ২ টাকা বেড়ে ২০ টাকা, রসুন (বড়) ১০০-১২০ টাকা, মশুরি ডাল দেশিটা বিক্রি হচ্ছে কেজি ১০০-১০৫ টাকা দামে। ছোলা বুট মান ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৯০ টাকা কেজি দামে।
লেবুর দাম প্রতিদিনই অবিশ্বাস্যভাবে বাড়ছে। রমজানের সময় শরবত পান করেন সবাই। এবারের পুরো রমজানজুড়েই থাকবে গরম। আর এই সময় লেবুর চাহিদা বেশি থাকবে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম, সে কারণে লেবুর দাম বাড়তি বলে জানান নিউমার্কেট বনলতা বাজারের মীর স্টোরের সবজি বিক্রেতা হারুন মিয়া।
তিনি বলেন, মাঝারি আকারের এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। বড় লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা।
এদিকে, গরুর মাংসের কেজি ৫৮০-৬০০ টাকা। খাশির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৮০-৯০০ টাকায়।