রোববার (৪ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
মানুষের জীবন সবার আগে তাই করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা মেনে চলারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, জীবন আর জীবিকার সমন্বয়ে এই করোনাকালেও অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে সরকার। তবে সবার আগে গুরুত্ব পাবে জীবন, তাই স্বাস্থ্যবিধি সবাইকেই মেনে চলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছুটা কষ্ট হলেও করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এসময়ে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে অবাধে চলাফেরা বন্ধ রাখলে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে হেফাজতের নাশকতার ঘটনার কঠোর সমালোচনা করেন। শনিবার রাতে সোনারগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের নেতার নারীসহ অবস্থানেরও সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলামের নামে এ অপবিত্র কাজের বিচার জনগণই করবেন।
এরআগে রোববার (৪ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
তবে পণ্যপরিবহন, জরুরি সেবা, জ্বালানি, ঔষধ, পচনশীল, ত্রাণবাহী পরিবহন, সংবাদপত্র, গার্মেন্টস সামগ্রী এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
এর আগে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউনের সিদ্ধান্তের কথা শনিবার (৩ এপ্রিল) জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এরপর থেকেই নগরজীবনে একধরনের পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। অনেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। লকডাউন এড়াতে ও কর্মহীন হয়ে আটকা পড়ার ভয়ে অনেকেই ঢাকা ছাড়ছেন। রাজধানী ঘুরে দেখা গেছে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়।