তিনি বলেন, লকডাউনে পুঁজিবাজারে সীমিত আকারে চালু থাকবে। প্রতিদিন ১০ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে উভয় বাজারে।
তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগকারী ও বাজারের স্বার্থে মার্জিন ঋণের সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা ফোর্সড সেল ঝক্কি এড়াতে পারবেন। অন্যদিকে অনেকের বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়বে। এটি বাজারকে স্থিতিশীল হতে কিছুটা হলেও সহায়তা করবে। মার্জিন ঋণের রেশিও দশমিক ৫ থেকে দশমিক ৮ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৭ হাজার পয়েন্ট পর্যন্ত ১:০.৮ হিসেবে ঋণ দেওয়া যাবে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীর মূলধন ১০০ টাকা হলে তাকে শেয়ার কেনার জন্য ৮০ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারবে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। গত কয়েকদিনে হঠাৎ করে দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। সংক্রমণের সংখ্যায় একের পর এক রেকর্ড হচ্ছে। বেড়েছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও। করোনা ভীতি এবং লেনদেন বন্ধের আতঙ্কে গত কয়েকদিন ধরে পুঁজিবাজার অস্থির। এর মধ্যে গতকাল সরকারের একাধিক মন্ত্রী লকডাউনের তথ্য জানালে আজ সোমবার (৪ এপ্রিল) বাজারে বড় দরপতন হয়। ডিএসইতে ৭৭ ভাগ কোম্পানি শেয়ারের দর হারায়। আর বিভিন্ন মূল্যসূচক কমে যায় ৩ থেকে ৪ শতাংশ। ব্যাপক দর পতনে বিপুল সংখ্যক বিনিয়োগকারী ফোর্সড সেলের হুমকীতে পড়েন। এই ফোসর্ড সেল এড়ানোর লক্ষ্যে মার্জিন ঋণের সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।