নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওই ৬৬টি কোম্পানির শেয়ার এক দিনে সর্বোচ্চ কমতে পারবে ২ শতাংশ। তবে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে আগের মতোই ১০ শতাংশ সীমা বহাল রয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে যেসব কোম্পানির শেয়ার মূল্য ৫ টাকার নিচে নেমে গেছে, সেগুলোর দাম কার্যত কমতে পারবে না। কারণ, কোনো কোম্পানির দাম কমা বা বাড়ার সময় সর্বনিম্ন হিসাব হয় ১০ পয়সা করে। ৫ টাকার নিচে যেসব শেয়ারের দাম, সেগুলোর ২ শতাংশ ১০ পয়সার চেয়ে কম।
৬৬টি কোম্পানির তালিকায় রয়েছে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড, আর এন স্পিনিং মিলস লিমিটেড, বাংলাদেশ সার্ভিস লিমিটেড, আইএফআইএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড, জাহিন স্পিনিং লিমিটেড, রিং সাইন টেক্সটাইলস লিমিটেড, অলিম্পিক এক্সেসোরিজ লিমিটেড, ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ফনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, নূরানী ডাইং অ্রান্ড সুয়েটার লিমিটেড, রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, এসইএমএল এফবিএলএফএসএল গ্রোথ ফান্ড, ইভেন্স টেক্সটাইলস লিমিটেড, ্যোসিফিক ডেনিমস লিমিটেড, মেট্রো স্পিনিং লিমিটেড, ফার কেমিক্যালস লিমিটেড, দেশ বন্ধু পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড, সাফকো স্পিনিং মিলস লিমিটেড, ওয়েস্টার্ণ মেরিন শিফইয়ার্ড লিমিটেড, সেন্ট্রাল ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড, বীচ হেচারীজ লিমিটেড,সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, শিফইয়ার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, হামিদ ফেব্রিক্স লিমিটেড, প্রাইম টেক্সটাইলস স্পিনিং মিলস লিমিটেড, সাইহাম টেক্সটাইলস লিমিটেড, গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এএফসি এগ্রো বায়োটিচ লিমিটেড, বেঙ্গল ইউন্ডসোর থার্মোপ্লস্টিকস লিমিটেড, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিঙ লিমিটেড, সিলভা ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড, ইন্টেদাবাংলা ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড, আরগন ডেনিমস লিমিটেড।
এর আগে ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর প্রতিটি শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে লকডাউনের মধ্যেই ৬৬টি কোম্পানির এই সর্বনিম্ন দাম প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
এই সিদ্ধান্তের পর গত বৃহস্পতিবার এসব কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের ব্যাপক দরপতন হয়। ১০ শতাংশ বা কাছাকাছি দর হারিয়ে বিনিয়োগকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
বস্ত্র খাতের কোম্পানি আর এন স্পিনিং এর সবশেষ দাম ৩ টাকা ৭০ পয়সা। এর দুই শতাংশ হয় ৭.৪ পয়সা। কিন্তু ১০ পয়সার কমে কোনো শেয়ারের দাম কমা বা বাড়ার সুযোগ নেই। তাই ফ্লোর প্রত্যাহার করা হলেও এই কোম্পানির শেয়ার দর কমতে পারবে না।
এ ছাড়া যেসব কোম্পানির শেয়ার দর ৫ থেকে ১০ টাকার কম সেগুলোর দাম কমতে পারবে সর্বোচ্চ ১০ পয়সা। যেসব কোম্পানির শেয়ার পর ১০ থেকে ১৫ টাকার কম সেগুলোর দাম কমতে পারবে সর্বোচ্চ ২০ পয়সা, যেগুলোর দাম ১৫ থেকে ২০ টাকার কম, সেগুলো সর্বোচ্চ ৩০ পয়সা, যেগুলোর দাম ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকার কম, সেগুলো সর্বোচ্চ ৪০ পয়সা, যেগুলোর দাম ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকার কম, সেগুলো সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা, যেগুলোর দাম ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকার কম, সেগুলো সর্বোচ্চ ৬০ পয়সা, যেগুলোর দাম ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকার কম, সেগুলো সর্বোচ্চ ৭০ পয়সা, যেগুলোর দম ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকার ভেতর, সেগুলোর দর সর্বোচ্চ ৯০ পয়সা, যেগুলোর দম ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকার কম, সেগুলোর এক টাকা, যেগুলোর দর ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকার কম সেগুলোর সর্বোচ্চ এক টাকা ১০ পয়সা, যেগুলোর দর ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকার মধ্যে, সেগুলোর দর এক দিনে সর্বোচ্চ এক টাকা ২০ পয়সা কমতে পারবে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ এপ্রিল বিএসইসির ৭৬৯তম কমিশন সভায় ৬৬টি কোম্পানির শেয়ারের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর ৮ এপ্রিল থেকে তা কার্যকর করা হয়। ফলে গত বুধবার পর্যন্ত শেয়ারবাজারে ১১০টি কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে ছিল। বৃহস্পতিবার ৬৬টি কোম্পানির শেয়ারের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এখনো ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস বহাল রয়েছে।