সম্প্রতি এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিস্থিতি তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠিও দেয়া হয়। এতে ‘সফটওয়্যার, আইটি পরিষেবা ও আইটি আউটসোর্সিং’ প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরুরি সেবা হিসেবে বিবেচনার কথা বলা হয়েছে।
দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবা খাতের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে এই তাগিদ দিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ই-সার্ভিস শাখা।
এ বিষয়ে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগও আমাদের আবেদন ইতিবাচকভাবে নিয়েছে এবং বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। শিগগির সরকার বিষয়টি বিবেচনা করে জরুরি খাত হিসেবে ‘সফটওয়্যার, আইটি পরিষেবা ও আইটি আউটসোর্সিং’ প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্ত করবে বলে আশা করছি।
আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য ‘কঠোর লকডাউনের’ মধ্যে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে বলে শুক্রবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
এর আগে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে শপিং মল, দোকান-পাট, হোটেল-রেস্তারাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। গত বুধবার থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল-সন্ধ্যা গণপরিবহন সেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত দেয় সরকার।
গত রবিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে ১১ দফা নিষেধাজ্ঞায় সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক জরুরি প্রয়োজনে সীমিত পরিসরে খোলা রাখার সুযোগ দেয়া হয়।