শনিবার (১০ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সংবিধান, আদালত এবং মুক্তিযুদ্ধের নারী ও শিশুদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির লেখা দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানটির আয়োজন খুব সুন্দর হয়েছিল। সেখানে বিদেশি অনেক অতিথি এসেছিলেন। অনুষ্ঠানে সামাজিক দূরত্ব মেনে একটি ব্যাংকুয়েটের আয়োজন ছিল। আমার টেবিলের পাশে মালদ্বীপের ফার্স্ট লেডি এবং আমাদের দেশের মাননীয় রাষ্ট্রপতির স্ত্রী, পাশাপাশি টেবিলে বসেছিলাম। সেখানে মালদ্বীপের ফার্স্ট লেডি আমার কাছে বললেন, তিনি বঙ্গবন্ধু ভবনে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি মর্মান্তিক দৃশ্য দেখেছেন। তিনি আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, সেই হত্যার বিচার হয়েছে কি না।’
প্রধান বিচারপতি ওই দিনের বর্ণনা দিয়ে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমি তাকে বলেছি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সাধারণ আদালতে হয়েছে। রায়ে সকল আসামির ফাঁসির রায় হয়েছে। এরপর সেটি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিয়ে আপিল বিভাগে সেই ফাঁসির রায় বহাল রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি উনাকে জানিয়েছি, খুনিদের ফাঁসি হয়েছে, দুই-তিনজন আসামি এখনো বিদেশে পলাতক রয়েছে। সরকার ওই আসামিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।’
এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধের বিচারের কথা আমরা বিদেশিদের ওইভাবে জানাতে পারিনি। এই দুই বিচারপতির লেখা বই, দেশের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে সক্ষম হবে।’
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা জাগ্রত করতে হলে সকলের সামনে বঙ্গবন্ধু হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা তুলে ধরতে হবে।