একেকজন একেক কাজে ল্যাপটপ ব্যবহার করেন। ফলে বাজারে বিভিন্ন ধরণের ল্যাপটপের ভিড়ে প্রয়োজন বুঝে ল্যাপটপ কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ। যেমন ল্যাপটপে যারা গেইম খেলেন, তাদের জন্য হাই-এন্ড ল্যাপটপ বেশি উপযোগী।গেইমিং ল্যাপটপ কেনার আগে কী কী বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে তা নিয়েই সাজানো হলো এবারের প্রতিবেদন।
প্রসেসর
গেইমিং ল্যাপটপের প্রাণ হলো প্রসেসর। দুর্বল প্রসেসর দিয়ে কখনোই ভাল গেইমিং অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে না। তাই গেইমিং ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই প্রসেসরের দিকে নজর দিতে হবে।
এক্ষেত্রে সর্বশেষ প্রজন্মের ভাল গতির প্রসেসর আছে এমন ল্যাপটপ বাছাই করতে হবে। গেইমিং ল্যাপটপের ক্ষেত্রে প্রসেসর কমপক্ষে কোর আই-৫ হতে হবে।
গ্রাফিক্স
গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) অন্যান্য ল্যাপটপের ক্ষেত্রে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে গেইমিং ল্যাপটপের এর গুরুত্ব অগ্রাহ্য করার উপায় নেই। ভাল মানের গেইমগুলো খেলতে হলে ভাল জিপিইউ এর বিকল্প নেই। তাই গেইমিং ল্যাপটপ কেনার পূর্বে জিপিউ ভাল কিনা যাচাই করে নিতে হবে।
দেশের বাজারে সাধারণত এনভিডিয়া, এএমডি, আরটিএক্স ব্র্যান্ডের গ্রাফিক্স সমৃদ্ধ গেইমিং ল্যাপটপ পাওয়া যায়। বাজেট অনুযায়ী প্রয়োজন মতো মডেল নির্বাচন করতে হবে।
র্যাম
ল্যাপটপের গতি অনেকাংশে র্যামের উপর নির্ভরশীল। সাধারণ কাজের জন্য ৪ গিগাবাইট র্যাম চলনসই হলেও, গেইমিং ল্যাপটপের র্যাম কমপক্ষে ৮ গিগাবাইট হওয়া উচিত। এছাড়া, বাজারে ১৬ কিংবা ৩২ জিবি র্যামের ল্যাপটপও পাওয়া যায়।
ব্যাটারি
গেইমিং ল্যাপটপের ক্ষেত্রে ব্যাটারি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, মোটামুটি মানের ব্যাটারি হলেই হয়। কেননা ব্যাটারি ফুল থাকলেও দ্রুতই তা ক্ষয় হয়ে যায়। এ কারণে ল্যাপটপ চার্জে দিয়ে গেইম খেলাই ভালো।