বুধবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. আফতাব গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও ঝড়ের পরিমাণ বাড়তে পারে।
মো. আফতাব বলেন, কিশোরগঞ্জ ও কুমিল্লা জেলাসহ ময়মনসিংহ, রংপুর ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এসব এলাকায় ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কি.মি. গতিতে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী, ফেনী, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলসহ ঢাকা ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে, যা কিছু কিছু এলাকায় প্রশমিত হতে পারে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থায় সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। তবে বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ঢাকায় সন্ধ্যায় বাতাসের গতি ও দিক ছিল পশ্চিম বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার। আর সকালে বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ।
গত ১২ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ঢাকায় ৩৭, ঈশ্বরদীতে ৩৮.৫, যশোরে ৩৭.৬, চুয়াডাঙ্গায় ৩৮.৭, খুলনায় ৩৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদ-দেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।