বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল ইসলাম করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এ কথা জানান। রাজধানীর মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবন ভার্চুয়ালি যুক্ত হন মন্ত্রী।
তিনি জানান, পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস খুব তাড়াতাড়ি নিঃশেষ হয়ে যাবে বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে না এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও এরকম আভাস দিয়েছেন। তাই স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন- সিটি করপোরেশন, এলজিইডি, ডিপিএইচই, ওয়াসা, পৌরসভা, উপজেলা ও জেলা পরিষদসহ সব প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান রাখতে একটি করোনা ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই গাইডলাইনে করোনা মোকাবিলা করে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বিশেষ করে ইনকাম জেনারেটিং এবং উৎপাদনশীল কার্যক্রম অব্যাহত রাখা যায় তার পরিকল্পনা সন্নিবেশিত থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের যেকোনো দুর্যোগ-দুর্দিন এবং দুঃসময়ে সাধারণ মানুষ তাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পাশে পায়। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের একটি নিবিড় সম্পর্ক এবং যোগাযোগ থাকে। জনপ্রতিনিধিরাই পারে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিতভাবে যেকোনো প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে।
আসন্ন বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে নগরীর সব ড্রেন ও খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সব মেয়রকে বিশেষ করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মন্ত্রী।
নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে ওয়াসার কাছ থেকে দুই সিটি করপোরেশন ড্রেন ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিয়েছে বলে সবার ধারণা। তাই এ বিষয়ে এখন থেকেই উদ্যোগ নিতে মেয়রদেরকে পরামর্শ দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়র ও প্রতিনিধি অনলাইন মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। এসময় সিটি করপোরেশনের মেয়ররা চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে অবহিত করেন।