শনিবার (১৭ এপ্রিল) ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার তথা মুজিবনগর সরকারের লক্ষ্যই ছিল শোষণমুক্ত এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া। সে লক্ষ্যেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী নির্বিশেষে বাংলাদেশের সকল মানুষকে শোষণ ও বঞ্চনার হাত থেকে মুক্ত করে তাদের মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শেখ হাসিনা অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, মুজিবনগর সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার যখন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তখনই একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক চক্র সে অর্জন বিনষ্ট করার জন্য মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাইছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরই মূলত আবার সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ পায়।
তিনি বলেন, ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে বিভিন্নভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছিল। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। বিচারের রায় কার্যকর করে তাদের দর্প চূর্ণ করেছেন। এই সম্প্রীতির বাংলাদেশে আবার সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে উগ্রসাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান। অন্যদের মধ্যে পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার গৌতম নারায়ণ চৌধুরী ও সমীর দাশ বাচ্চু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, কাউন্সিলর ছায়েদুল্লাহ লিটন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনিরুজ্জামান অনিক ও সাবেক সভাপতি মাকসুদুল ইসলাম প্রমুখ আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন।