শনিবার (১৭ এপ্রিল) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১৪টি হাসপাতালের মোট ১ হাজার ৪৭৪ জন চিকিৎসক, ৪০৬ জন নার্স ও ৯৮১ জন অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী এই প্রণোদনা পাবেন। টাকার অঙ্কে এই প্রণোদনার পরিমাণ ১৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৪ হাজার ৯০২ টাকা।
কোন হাসপাতালে কতজন পাচ্ছেন প্রণোদনা
১. শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ১৭২ জন চিকিৎসক, ৩৩৯ নার্স ও ৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী।
২. পিরোজপুর জেলা সদর হাসপাতালের ২০ জন চিকিৎসক, ৩৫ জন নার্স ও ৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী।
৩. মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ৫৪ চিকিৎসক ও ২৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী।
৪. মিরপুরের মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের ৯৪ চিকিৎসক ও ৩৪ স্বাস্থ্যকর্মী।
৫. সিরাজগঞ্জের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুনন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের ৬০ জন চিকিৎসক ও ১৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী।
৬. দিনাজপুরের আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজের ১০৮ চিকিৎসক ও ৭৪ স্বাস্থ্যকর্মী।
৭. রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৯৭ জন চিকিৎসক ও ২০৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী।
৮. কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৬ জন চিকিৎসক।
৯. বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ১৬৫ চিকিৎসক ও ৩১০ স্বাস্থ্যকর্মী।
১০. রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৮০ জন চিকিৎসক ও ১৪১ জন স্বাস্থ্যকর্মী।
১১. সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০৯ চিকিৎসক ও ১৩৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী।
১২. বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের ৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী।
১৩. শহীদ শামসুদ্দিন আহমেদ হাসপাতালের ৬৬ জন চিকিৎসক, ১৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী।
১৪. সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের ২৩ চিকিৎসক, ৩২ জন নার্স ও ৭ জন স্বাস্থ্যকর্মীর নামে প্রণোদনা বরাদ্দ হয়েছে।
এর আগে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে দুই দফায় চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত মোট ৪ হাজার ২৩২ ব্যক্তির সম্মানী বাবদ ২৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা ছাড় করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। মোট ২৮টি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নামে এই অর্থ ছাড় করা হয়। তাদের মধ্যে চিকিৎসক ১ হাজার ৮৮০ জন, নার্স ৮৪৫ জন এবং স্বাস্থ্যকর্মী ১ হাজার ৫০৭ জন।
গতকাল (১৭ এপ্রিল) পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে মোট ১৩৯ চিকিৎসক মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯১০ জন।