রোববার (১৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী করোনা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৬ লাখ পরিবারকে মাথাপিছু ২৫০০ এবং ৫০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত ৪ এপ্রিল সংঘটিত ঝড়ো হাওয়া, শিলাবৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ে দেশের ৩৬টি জেলার ৩০ লাখ ৯৪ হাজার ২৪৯ হেক্টর ফসলি জমির মধ্যে ১০ হাজার ৩০১ হেক্টর ফসলি জমি সম্পূর্ণ এবং ৫৯ হাজার ৩২৬ হেক্টর ফসলি জমি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মর্মে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে তথ্য পাওয়া যায় এবং এতে করে ১ লাখ কৃষক সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে।
কোভিড-১৯ এর ফলে কর্মহীন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এসব কৃষকদের জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা হারে আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনার সুপারিশ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এ বাবদ ৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা (নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও মোবাইল নম্বর) প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। তবে কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীতব্য তালিকাটি চূড়ান্ত হলে প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ কম বা বেশি হতে পারে।
সূত্র আরও জানায়, বিগত ২০১৯-২০ অর্থবছরে মুজিববর্ষে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে যাচাই-বাছাই করে প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১২ মে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তদেরকে জিটুপি পদ্ধতিতে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এবারে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে অর্থ বিভাগের বাজেটের অধীন ‘করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় তহবিল’-এ বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে নির্বাহ করা যাবে।
এখানে উল্লেখ্য যে, প্রস্তাবটি বিবেচিত হলে ইতোপূর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে অর্থ বিভাগের ডাটাবেজে সংরক্ষিত তালিকায় অন্তর্ভুক্তদের সরাসরি অতি অল্প সময়ে আর্থিক সহায়তার অর্থ প্রদান করা যাবে।
চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ১৪ এপ্রিল তারিখ থেকে কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে সার্বিক বিধিনিষেধ আরোপ করার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর, কৃষক, শ্রমিক, গৃহকর্মী, মোটরশ্রমিকসহ অন্যান্য পেশায় নিয়োজিতদের পুনরায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।