মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ইকোসকের ব্যবস্থাপনা সভায় সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রত্যক্ষ ভোটে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া, এবং ইরান এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে সংস্থাটির কার্যকরী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়।
নির্বাচনে জয়লাভের পর জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, “সিএনডি’র এই নির্বাচনটি ছিল অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বাংলাদেশ এতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে (৪৩ ভোট)। এই বিজয় বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের নেতৃত্বের উপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থারই বহিঃপ্রকাশ।"
বিশ্বজুড়ে মাদক সমস্যার সকল দিকের প্রতি বাংলাদেশ সবসময়ই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায়ে অবৈধ মাদক ব্যবসা বন্ধে অত্যন্ত শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং এ বিষয়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা আরো বলেন, “আমরা বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মাদক ও মাদকজাতীয় দ্রব্যের ক্রমবর্ধমান অবৈধ ব্যবহার বিষয়ে খুবই উদ্বিগ্ন, যা সংশোধনমূলক দৃষ্টিকোন থেকে সমাধান করা প্রয়োজন। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করার ক্ষেত্রে কমিশনের সদস্য হিসেবে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করব।"
জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য বিষয়ক কমিশন (সিএনডি) ৫৩ সদস্যের একটি সংস্থা। কমিশনটি বৈশ্বিক মাদকদ্রব্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ, সরবরাহ ও চাহিদা হ্রাস বিবেচনা এবং রেজুলেশন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে এ বিষয়ক সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। এর সদর দপ্তর ভিয়েনায় অবস্থিত।
এছাড়া মঙ্গলবারের ইকোসক ব্যবস্থাপনা সভায় ইউনিসেফ ও ইউএন উইমেন এর নির্বাহী বোর্ডের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়। উভয় বোর্ডে বাংলাদেশ সদস্য হিসেবে আবারো নির্বাচিত হয়েছে। নতুন এই বোর্ড দুটি জানুয়ারি ২০২২ থেকে কার্যক্রম শুরু করবে। উল্লেখ্য বাংলাদেশ বর্তমানেও বোর্ড দুটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। নির্বাহী বোর্ডই জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থা দুটি’র মুল পরিচালনা পর্ষদ।