বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে বেবিচকের ১৬ এপ্রিলের সভায় হওয়া সিদ্ধান্তের বিশেষ শর্তগুলো মানতে হবে।
বেবিচক জানিয়েছে, বিশেষ শর্তগুলো হলো ঢাকা থেকে কুয়েত গন্তব্যে কেবল পয়েন্ট টু পয়েন্ট যাত্রী পরিবহন করা যাবে। চীন, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার, সিঙ্গাপুর ও সৌদি আরবের যাত্রীরাও এই ফ্লাইটে যেতে পারবেন। প্রত্যেক যাত্রীকে যাত্রার ৭২ ঘণ্টা পূর্বে পিসিআর টেস্ট করে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ নিতে হবে।
বেবিচক বলছে, বিশেষ বিবেচনায় পরিচালিত এসব ফ্লাইটে করে বাংলাদেশে এলে, সরকার–নির্ধারিত স্থানে বা নিজ খরচে বেসরকারি হোটেলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন মানতে হবে। কুয়েতে ও বাহরাইনে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বেবিচকের এসব নির্দেশনা ২৫ থেকে ২৮ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৪ এপ্রিল ভোর থেকে আন্তর্জাতিক সব পথে ফ্লাইট চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় বেবিচক। তবে দেশে আটকে পড়া প্রবাসী শ্রমিকদের কথা ভেবে সরকার গত শনিবার থেকে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রবাসী কর্মীদের কর্মস্থলে ফেরা নিশ্চিত করতে গত শনিবার থেকে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর—এই পাঁচ দেশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয় বেবিচক।
এর আগে ৫ এপ্রিল থেকে দেশে অভ্যন্তরীণ সব পথে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেয় বেবিচক। গত বুধবার থেকে সীমিত পরিসরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়েছে।