মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় রিয়ালের ঘরের মাঠ আলফ্রেড ডি স্টেফানো মাঠে খেলাটি শুরু হচ্ছে। ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে ফাইনালে যাওয়ার প্রথম ধাপে দুই দলই জিতে এগিয়ে থাকতে চাইবে।
জিনেদিন জিদানের দলকে তাদের মাঠেই কাবু করা টমাস টুখেলের শিষ্যদের জন্য কঠিনই বটে। লা লিগায় শিরোপার দৌড়ে দারুণ লড়াই করছে রিয়াল। এই আত্মবিশ্বাস কাজে দেনে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচেও। সর্বশেষ ম্যাচে রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে ড্র করলেও ৫ ম্যাচের মধ্যে নেই কোনো হার।তারা লিভারপুলকে শেষ আটে হারিয়ে শেষ চারে উঠে এসেছে।
ইনজুরির কারণে দলটি পাচ্ছে না সার্জিও রামোসকে। তবে দ্বিতীয় লেগের খেলায় তার ফেরার সম্ভাবনা জোরালো। স্বস্তির বিষয় অ্যাডেন হ্যাজার্ডকে দেখা যেতে পারে রিয়ালের সাদা পোশাকে। জিদান জানিয়েছে মাঠে নামার জন্য সম্পূর্ণ ফিট এই বেলজিয়ান ফুটবলার। এই ম্যাচে ফেরার কথা রয়েছে টনি ক্রুজের।
গোল কিপিংয়ে কর্তোয়ার সামনে রিয়ালের রক্ষণ সামলাতে কার্ভাহাল-মিলিতাও-ভারানে-নাচো দেখা যেতে পারে। ইনজুরির কারণে থাকছেন মেন্ডি। মাঝ মাঠ সামলানোর গুরু দায়িত্ব ক্রুস-ক্যাসিমোরা-মডরিচের উপর পড়তে পারে। অ্যাসেনসিও-বেনজেমা-ভিনিসিয়াসকে দেখা যাবে আক্রমণভাগে। বদলি খেলোয়াড় হিসেবে দেখা যেতে পারে হ্যাজার্ডের ঝলক।
অন্যদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের (ইপিএল) পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে চারে থাকলেও শিরোপার দৌড়ে বেশ পিছিয়ে। তবে দলটি চ্যাম্পিয়নস লিগ নিজেদের করে নেওয়ার জন্য মারণ কামড় দিতে পারে। সর্বশেষ ৫ ম্যাচে চেলসির হার ১টিতে। তাও চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে পোর্তোর বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে। প্রথম লেগে এগিয়ে থাকায় শেষ পর্যন্ত শেষ চারের টিকিট পায় লা ব্লুজরাই।
চেলসিকে দেখা যেতে পারে ৩-৪-২-১ ফরমেশনে। গোলরক্ষক মেন্ডির সামনে রক্ষণ দুর্গ সামলাতে পারেন রডিগার, থিয়াগো সিলভা ও অ্যাজপিলিকুয়েটা। মাঝমাঠে চিলওয়েল, জোরগিনহো, কান্তে ও রিচ জেমসকে দেখা যেতে পারে। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে মউন্ট-ওয়ার্নার থাকতে পারেন আক্রমণের কারিগর হিসেবে। আর আক্রমণ ভাগের নেতৃত্ব থাকতে পারে একমাত্র হ্যাবার্টজের কাঁধে।
মুখোমুখি লড়াইয়ে সর্বশেষ তিন ম্যাচের মধ্যে লড়াইয়ে এগিয়ে রিয়াল। দুটিতে জয় একটিতে হার। এজ কী জয়ের পাল্লা রিয়ালের আরও ভারি হবে নাকি সমতা নিয়ে আসবে চেলসি। এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছু সময়।