মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, স্পুতনিক-ভি ছাড়াও চীনের সিনোফার্মের (চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ) টিকা আনার বিষয়েও কাজ করছি আমরা। যে ভ্যাকসিন দেশের জন্য প্রয়োজন, বিভিন্ন উৎস থেকে সেটি পাওয়ার চেষ্টা করছি।
এর আগে আজই ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক সভায় দেশে রাশিয়ার টিকা স্পুতনিক-ভির জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত জরুরি জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রের ওষুধ, পরীক্ষামূলক ওষুধ, টিকা ও মেডিকেল সরঞ্জামবিষয়ক কমিটি এ অনুমোদন দিয়েছে।
সরকারি নথিতেও উল্লেখ করা হয়েছিল, রাশিয়া বাংলাদেশকে আগামী মাস থেকেই টিকা দিতে পারবে।
ঔষধ প্রশাসনের স্পুতনিক-ভি টিকার বিষয়ে সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশে অনুমোদন পাওয়া টিকার সংখ্যা দাঁড়াল দুটি। এর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত জরুরি জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রের ওষুধ, পরীক্ষামূলক ওষুধ, টিকা ও মেডিকেল সরঞ্জামবিষয়ক কমিটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিল।
দেশের শীর্ষস্থানীয় জনস্বাস্থ্যবিদ, টিকা বিশেষজ্ঞ, ওষুধবিজ্ঞানী ও রোগতত্ত্ববিদেরা এই কমিটির সদস্য।
ভারতের মাধ্যমে যেসব টিকা আসছিল সেটি আপাতত বন্ধ রয়েছে। দেশটিতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভারত টিকা দিতে পারছে না।
এ কারণে গতকাল থেকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। টিকা সঙ্কট দেখা দিয়েছে। প্রথম ডোজ দেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার জন্য মজুত সরকারের হাতে নেই।
এমতাবস্থায় রাশিয়ার টিকা আনার সিদ্ধান্ত নিল সরকার।