বুধবার (২৮ এপ্রিল) এ সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন মন্ত্রী।
ঢাকা বিভাগের নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলা, রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ ও বগুড়া জেলা, রংপুর বিভাগের দিনাজপুর জেলা এবং সিলেট বিভাগের সিলেট সদর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জসহ ৯টি জেলার জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, মিল মালিক এবং কৃষক প্রতিনিধিরা অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা মোতাবেক সঠিকভাবে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে, মাস্ক পরিধান করে ধান সংগ্রহের মাধ্যমে মজুত ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দেন। গুদামে ধান দেওয়ার সময় কৃষককে যাতে কোনো প্রকার হয়রানির শিকার হতে না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্যও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ধান এবং চালের কোয়ালিটির সাথে কোনো প্রকার আপস করা হবে না বলেও জানান তিনি।
এছাড়া যেসব উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হবে; সেখানে যদি কোনো কৃষক অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে সমস্যায় পড়েন তাহলে সংশ্লিষ্ট কমিটিকে বিষয়টির গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত সমাধান করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
এ সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবর রহমানসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চলতি বোরো মৌসুমে সারাদেশে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান, মিলারদের কাছ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল ও ৩৯ টাকা কেজি দরে দেড় লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহ করবে সরকার।