গতকাল (বুধবার) সন্ধার পর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খাইরুল হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ফজলে কবির গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
একই সঙ্গে পতন রোধে বাজার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এর অংশ হিসেবে ডিএসই ও সিএসইতে সার্কিট ব্রেকার বসানোসহ কয়েকটি বিষয়ে নিয়ে আলোচনা চলছে এবং এই প্রতিবেদন লেখা পরযন্ত শেয়ারবাজার বন্ধ রয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে সম্প্রতি বিশ্বের পুঁজিবাজারে ধস নেমেছিল। তারপর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন উদ্যোগে বাজার আবার স্বাভাবিক হয়েছে।
আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের পূঁজিবাজারও একদিন বন্ধ রাখার পর বড় ধরনের উত্থান হয়েছে। তাই বাজার বন্ধ রাখারও দাবি জানিয়েছে বিনিয়োগকারীরা।
তবে বাজার বন্ধ রাখা হবে না বলে ডিএসইর পক্ষ থেকে জানানো হয়। কিন্তু বিভিন্ন দেশের পূঁজিবাজার যেহেতু বিভিন্ন ধরন রয়েছে। তাই বাংলাদেশের বাজারে কি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। ইতোমধ্যেই সার্কিট ব্রেকার বসানোর কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, পতন যেন রুটিনে পরিনত হয়েছে দেশের পূঁজিবাজারের। সরকারের পক্ষ থেকে একের পর এক আশ্বাস দেওয়া হলেও সেগুলো কোনো কাজে আসছে না। সর্বশেষ আশার বাণী শোনা গিয়েছিল অর্থমন্ত্রীর কাছে থেকে। তিনি বলেছিলেন, আজ থেকে ব্যাংকের বিনিয়োগ শুরু হবে পূঁজিবাজারে। আর ব্যাংকের বিনিয়োগ শুরু হলে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু না, গত বুধবারও ব্যাপক পতন হয়েছে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে।