শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে এ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ গণমাধ্যমে জানায়, নিহত তরুণীর ব্যাগ থেকে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে নিহত তরুণীর নাম আছে ছেনুয়ারা (২১)। বাবার নাম হাসান। বাড়ি চট্টগ্রাম মহানগরের পাঁচলাইশ থানার চকবাজার আরাকান সড়কে উল্লেখ আছে।
পুলিশ হোটেলকক্ষের ভাড়াটিয়া মোতাহার হোসেনকে আটক করেছে। লকডাউন এবং করোনা সংক্রমণরোধে ১ এপ্রিল থেকে সমুদ্রসৈকতে পর্যটকের সমাগম নিষিদ্ধ করে জেলা প্রশাসন। পর্যটক না থাকায় পরের দিন থেকে সৈকত এলাকার পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউস ও কটেজ বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যেই লাশ উদ্ধারের ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে।
হোটেলকক্ষে তরুণীর মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র ধর গণমাধ্যমে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ওই তরুণীকে নিয়ে সি-পার্ল-১ নামের হোটেলের পঞ্চম তলার ডি-১ কক্ষে ওঠেন এক তরুণ। কক্ষটির ভাড়াটিয়া মালিক মোতাহের হোসেন। শুক্রবার দুপুরে ওই কক্ষের ভেতর কারও সাড়াশব্দ না পেয়ে বিকল্প চাবি দিয়ে কক্ষের দরজা খোলেন হোটেলের কর্মচারীরা। এ সময় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তরুণীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। বিকেল চারটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কক্ষের মেঝেতে পড়া অবস্থায় তরুণীর মরদেহ দেখতে পায়। তরুণীর গলায় চাদর মোড়ানো। ঘটনার পর থেকে তরুণ পলাতক।