শনিবার (১ মে) প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস (রানা) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের আহ্বানে ও কলম্বিয়া সরকারের অংশীদারিত্বে গঠিত গ্লোবাল কমিশন অব বায়োডাইভারসিটি ২০৩০ বিশ্বজুড়ে নগর সরকার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকদের প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি নগর উন্নয়নের মডেল তৈরি করতে সহায়তা করবে, তাই এর নামকরণ করা হয়েছে, ‘বায়োডাইভারসিটি বাই ২০৩০’।
এ কমিশনের সঙ্গে যুক্ত আছেন সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিশ্বখ্যাত বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ এবং সুশীল সমাজের ২৬জন প্রতিনিধি; যাদের মাঝে একজন ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের বিশেষ দূত ড. আবুল কালাম আজাদ। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের ব্যবসার সুযোগ এবং ১১৭ মিলিয়ন কর্মসংস্থান তৈরি করার মত অবকাঠামো এবং পরিবেশ গঠন করা, বিশ্বব্যাপী নগরসমূহকে নতুনভাবে কল্পনা ও পরিকল্পনা করার লক্ষ্যে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম কলম্বিয়া সরকারের সঙ্গে একযোগে নতুন উদ্যোগ নিয়ে কাজ করবে।
নগরের উন্নয়নকে টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রকৃতি-ইতিবাচক করার উদ্দেশ্যে করা সাম্প্রতিক গবেষণাকে ব্যবহারিক সমাধানে রূপান্তরিত করা এবং তার জন্য অংশীদারিত্ব, কাঠামো, দূরদৃষ্টি তৈরি করার ক্ষেত্রেও কমিশনটি পরামর্শ দেবে।
এ বিষয়ে নবনিযুক্ত কমিশনার ড. আবুল কালাম আজাদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘এটি একটি ভালো খবর। এটি বাংলাদেশের জন্য খুবেই গর্বের বিষয়। বাংলাদেশে জলবায়ু, বায়োডাইভার্সিটি এসব বিষয় প্রাধান্য পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে। আমি মনে করি, এই কমিশনে অবদান রাখার মধ্য দিয়ে পুরো পৃথিবী এবং বাংলাদেশের জন্য অনেক কল্যাণকর কাজ করা যাবে।’