তিনি জানান, জেলার গাড়িগুলো জেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে এবং কোনোভাবেই জেলার সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না। সিটির ক্ষেত্রেও সিটি পরিবহন সিটির বাইরে যেতে পারবে না বলেও জানান মন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া কোনো গাড়ি ঢাকা জেলার সীমারেখার বাইরে যেতে পারবে না।
তিনি পরিবহনগুলোকে অবশ্যই অর্ধেক আসন খালি রেখে নতুন সমন্বয়কৃত ভাড়ায় চলতে হবে বলে জানান।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না, পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং প্রতি ট্রিপে গাড়ি জীবানুমুক্ত করাও বাধ্যতাৃূলক হতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ সোমবার (৩ এপ্রিল) সকালে ময়মনসিংহ সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব মন্তব্য করেন।
তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।
করোনা কখন কমে আবার কখন বাড়ে- তা বলা যায় না, তাই আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো কারণ নেই।
তিনি আবারও বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত থেকে আমাদের সবার শিক্ষা নিতে হবে এবং সামাজিক দুরত্ব ও শতভাগ মাস্ক পরিধান করতে হবে।
ওবায়দুল কাদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও নগদ অর্থ সাহায্যের প্রস্তাবে এবারের ঈদে ৩৬ লাখ পরিবারের জন্য দেশের প্রতিটি জেলা- উপজেলায় অর্থ সাহায্য পৌঁছে গেছে।
যারা এই অর্থ বিতরণে সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে গতবারও অনেক অভিযোগ এসেছিলো এবং অনেককেই শাস্তি পেতে হয়েছে এমনকি অনেক জনপ্রতিনিধিদেরকেও কারাগারে যেতে হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য নিয়ে এবার এধরণের অপকর্ম এবং অর্থ নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলবে তারা গণদুশমন হিসেবে চিহ্নিত হবে।