মঙ্গলবার (৪ মে) প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে ছুটি তিনদিনই থাকবে এবার। আমাদের প্ল্যান ছিল একদিন ছুটি দেয়ার। ঈদের ছুটির দুদিন শুক্র ও শনিবারই মনে হচ্ছে যাবে। যাতে কেউ কোথাও যেতে না পারে, ঢাকা না ছাড়তে পারে। কারণ ঢাকা হচ্ছে করোনার উচ্চ সংক্রমণশীল এলাকা। ৮০ শতাংশ সংক্রমণই হয় ঢাকায়।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে বা ঢাকার আশেপাশে থেকে শ্রমিকরা যদি ঈদের সময় অন্য জায়গায় চলে যায় তবে ম্যাসাকার হবে। সে জন্য আমরা চাচ্ছি সবাই কর্মস্থলেই থাকুক।’
‘সরকারি-বেসরকারি সবক্ষেত্রে নির্দেশনা দেয়া আছে, ছুটি তিনদিনই থাকবে, কেউ এর বাইরে ছুটি দিতে পারবে না’, বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি অনুযায়ী এখনও চলাচলে কড়াকাড়ি আরোপ করার বিষয় আছে। আমরা বলছি, ঈদের সময় যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকবেন। লোকজন মুভ করলে এটা ব্যাপকভাবে বেড়ে যেতে পারে। ভারতের বিষয়টি আমাদের পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে। সে জন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি।’
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৩ বা ১৪ মে দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
আগামী ১২ মে (বুধবার) থেকে শুরু হচ্ছে ঈদের ছুটি। রমজান মাস যদি ২৯ দিনে শেষ হয় তবে ঈদুল ফিতর হবে ১৩ মে। এক্ষেত্রে ১৩ ও ১৪ মেও (বৃহস্পতি ও শুক্রবার) ঈদের ছুটি থাকবে। তবে রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হলে ঈদের ছুটি আরও একদিন বাড়বে, সেক্ষেত্রে ১৫ মেও (শনিবার) ছুটি থাকবে।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। লকডাউনের মধ্যে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। পরে সাতদিন করে দু-দফা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৫ মে (বুধবার) মধ্যরাতে।
চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ছে বলে সোমবার জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি জানান, ৬ মে থেকে জেলার মধ্যে গণপরিবহন চলবে। তবে আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এছাড়া ট্রেন ও লঞ্চও বন্ধ থাকবে।