বুধবার (৫ মে) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে ক্রয় প্রস্তাবগুলো অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, আজকে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৭তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ১৪টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৫টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২টি, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ২টি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। এর মধ্যে ৮ ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ২ হাজার ৫৭৭ কোটি ৮৭ লাখ ৪২ হাজার ৯৪২ টাকা।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড.শাহিদা আক্তার বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক তিউনিসিয়া থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রতি টন সারের দাম ৫৬৮ মার্কিন ডলার ধরা হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৭২৩ কোটি ৭৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আর বেলারুশ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রতিটন সারের দাম ধরা হয়েছে ২৯২ দশমিক ৮৭ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে মোট ব্যয় হবে ৪৪৭ কোটি ৮২ লাখ ৭৫ হাজার ১৭০ টাকা।
এছাড়া সরাসরি ক্রয়ের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব টেবিলে উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবটি হলো শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কাছ থেকে ১৪তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া ক্রয়ের প্রস্তাব। প্রস্তাবটি বৈঠকে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রতিটন সারে দাম ধরা হয়েছে ৩৬২ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার। এতে মোট ব্যয় হবে ৯২ কোটি ৩৮ লাখ ৩১ হাজার ২৫০ টাকা।