বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) এ বিষয়ে বিএসইসি থেকে এক নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বর্তমানে পুঁজিবাজরে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর আইপিও শেয়ার প্রথম দুই দিন লেনদেনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ বাড়তে পারতো। সেটা পরিবর্তন করে এখন থেকে আইপিও শেয়ারের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত শেয়ারের মতই প্রথম দিন থেকে ১০ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার প্রযোজ্য হব।
এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আইপিও শেয়ার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে প্রথম দুই দিন লেনদেনের ক্ষেত্রে বর্তমানে যে সার্কিট ব্রেকার ছিল সেটা পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে আইপিও শেয়ার লেনদেনে শুরু করার প্রথম দিন থেকেই অন্যান্য শেয়ারের মত ১০ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণ করা থাকবে।
প্রসঙ্গত, নতুন তালিকাভুক্ত হয়ে শেয়ার লেনদেনের প্রথম দুই দিন কোনো সার্কিট ব্রেকার থাকে না। তাই যৌক্তিক দরের থেকেও কয়েকগুন দর বাড়ে নতুন শেয়ারের। অবশ্য কিছুদিন পরেই শেয়ারের দর কমে যায় এবং বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ কারণে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের প্রথম দিন থেকেই সার্কিট ব্রেকার আরোপের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। গত ৫ নভেম্বর ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৭০৪ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিএসইসির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লেনদেনের প্রথম দিকে নতুন তালিকাভুক্ত শেয়ারের উচ্চ মূল্য থাকায় এনআরবি (অনিবাসী বাংলাদেশী) কোটাসহ বিনিয়োগকারীরা লটারিতে প্রাপ্ত বিনিয়োগকারীরা প্রাথমিক শেয়ার উচ্চমূল্যে বিক্রি করে বাজার থেকে বেরিয়ে যায়। পরবর্তীতে নতুন তালিকাভুক্ত শেয়ার তার প্রথম দিনের উচ্চ মূল্য ধরে রাখতে পারে না। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং সূচকে নেতিবাচক প্রভাব পড়েও বাজার তার স্বাভাবিক গতি হারায়। এ অবস্থায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন তালিকাভুক্ত শেয়ার লেনদেনের প্রথম দিন থেকেই সার্কিট ব্রেকারের আওতায় থাকবে। এক্ষেত্রে প্রথম দিন ইস্যুমূল্যের ৫০ শতাংশ এবং দ্বিতীয় দিন লেনদেন হওয়া শেয়ারের রেফারেন্স মূল্য কিংবা আগের দিনের সমাপনী মূল্য কিংবা সমন্বিত প্রারম্ভিক মূল্যের উপর ৫০ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার প্রযোজ্য হবে। তবে তৃতীয় দিন থেকে স্বাভাবিক সময়ের মত ১০ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার প্রযোজ্য হবে।