বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ এক হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা। চার বছরের রেয়াতকালসহ ৩৪ বছরে ২ শতাংশ সুদসহ এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
শুক্রবার বিশ্ব ব্যাংকের নিউ ইয়র্ক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় বাংলাদেশের জন্য এই ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে বিশ্ব ব্যাংক ঢাকার আবাসিক কার্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এই ঋণ দিয়ে ঢাকার ১৫ লাখ মানুষের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে চলমান একটি প্রকল্পে অর্থায়ন করা হবে।
‘ঢাকা স্যানিটেশন ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক ওই প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকার দক্ষিণ অংশের সাধারণ মানুষের জন্য নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।
বিশ্ব ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকার দক্ষিণাঞ্চলের স্যানিটেশন সেবার মান উন্নত করার পাশাপাশি ঢাকা ওয়াসার সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ অভ্যন্তরীণ বন্যা ও পানি দুষণ রোধে কাজ করা হবে। ৫০ হাজার পরিবারকে ড্রেনেজ সংযোগ সেবার আওতায় আনা হবে। সেই সাথে নিম্ন আয়ের মানুষদের উন্নত টয়লেট সুবিধাসহ সেপটিক ট্যাঙ্ক স্থাপন করা হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন জানান, ঢাকার নিম্ন আয়ের ৩৫ লাখ পরিবার দুর্বল স্যানিটেশন পরিবেশে বসবাস করছে। এই প্রকল্পটি তাদের নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থার সাথে সাথে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি কমাবে।
এ প্রকল্পে চীনভিত্তিক এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) ১৭ কোটি ডলার এবং বাংলাদেশ সরকারের ১৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার ব্যয়ের লক্ষ্য রয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছে, প্রকল্পটির আওতায় পাগলায় দৈনিক গড়ে ১৫ কোটি লিটার ধারণ ক্ষমতার স্যুয়ারেজ সিস্টেম প্লান্ট স্থাপন করা হবে।