শুক্রবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর শের-ই বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এদিন পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় শেষে দলীয় নেতাদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যারা আসামি হন তাদের পরিবারে কখনও ঈদ আসে না, এটা বাস্তবতা। এই সরকারের নির্মম অত্যচার, নির্যাতন বর্ণনাতীত। এই অবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা চলছি। খালেদা জিয়া যখন আমাদের সঙ্গে থাকেন, আমরা উজ্জীবিত হই, তিনি অনুপ্রাণিত করেন। এখন আমরা এভাবে উজ্জীবিত হই, তিনি তো বেঁচে আছেন। এটাই আমাদের প্রেরণা দেয়। এই অনুপ্রেরণা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবো।
ফ্যাসিবাদকে হটিয়ে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আল্লাহ যেন আমাদের তৌফিক দেন, সারাদেশে যে একটা ফ্যাসিবাদ, কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এর থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য যেন শক্তি অর্জন করতে পারি। সবাই জানেন আজকে ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে, অত্যন্ত কষ্টের মধ্য দিয়ে। একদিকে করোনার ভয়াবহ আক্রমণ, অন্যদিকে ফ্যাসিবাদ সরকারের অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন। এই দানবের হাত থেকে দেশ যেন রক্ষা পায়, এই দোয়া করেছি।
করোনা মহামারিতে সরকারের পলিসি ভুল উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারে ভুল পলিসির কারণে আজকে মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে গেছে। বাড়ি যাওয়ার পথে ৫ জন মারা গেছেন। একদিকে তারা লকডাউন বলছে, কিন্তু পালন হচ্ছে না। পরিবহন বন্ধ করেছে, কিন্তু যাত্রী চলাচল বন্ধ হচ্ছে না। সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে যদি লকডাউন করতো এমন পরিস্থিতি হতো না। আর আমরা বারবার করে বলি, প্রণোদনার টাকা যদি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতো, তাহলে এ অবস্থা হতো না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সারাদেশের মানুষকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আজকে পবিত্র ঈদের দিনে আমরা স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের মাজারে এসেছিলাম, শ্রদ্ধা জানাতে, কবর জিয়ারত করতে। এখানে দাঁড়িয়ে মহান আল্লাহর কাছে আজকের পবিত্র দিনে এই দোয়া চেয়েছি, তিনি যেন আমাদের নেত্রী, গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়াকে সুস্থতা দান করেন। দোয়া চেয়েছি, আমাদের নির্বাসিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যেন অচিরেরেই দেশে এসে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারেন। একইসঙ্গে আমাদের দলের ও দেশের যেসব বরেণ্য ব্যক্তি চলে গেছেন আমাদের ছেড়ে, তাদের রুহের মাগফেরাতের জন্য দোয়া চেয়েছি।