দেশটির সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭৬ (৩) অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভান্ডারী তাকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নিয়োগ দিয়েছেন।
ওলির সরকার আস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভান্ডারী সংবিধানের ৭৬ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অন্যান্য দলগুলোকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিয়ে নতুন একটি সরকার গঠনের জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছিলেন।
কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়ে সময় বেধে দিলেও নেপালি কংগ্রেস এবং কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (মাওবাদী) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়।
উভয় দল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানায় যে তারা নেপালে একটি জোট সরকার গঠনের দাবি করবে না। কারণ সরকার গঠনের জন্য যে নির্দিষ্টসংখ্যক এমপির সমর্থন প্রয়োজন তা তারা অর্জন করতে পারেনি। এরপর প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ওলিকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন।
নেপালের সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ পেয়েছেন সিপিএন-ইউএমএলের চেয়ারম্যান ৬৯ বয়সী ওলি। আজ শুক্রবার তার শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে।