গত বৃহস্পতিবার শুরু হয় তিন দিনের ঈদের ছুটি। শুক্রবার পালিত হয় ঈদুল ফিতর। সাধারণ নিয়মানুযায়ী, রমজান মাস ২৯ দিনে হিসাব করে ঈদুল ফিতরের ছুটি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মানুষকে কর্মস্থলে রাখতে বৃহস্পতিবার (১৩ মে) থেকে ছুটি ঘোষণা করে সরকার।
ঈদের ছুটি শেষে আজ অফিস পাড়ায় যোগ দিচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বিমা ও শেয়ারবাজারের কর্মজীবীরা। বিশেষ করে যারা ঢাকায় ঈদ করেছেন তারা এদিন অফিসে যাবেন। আর গ্রামে ঈদ করতে যাওয়া পেশাজীবীদের ঢাকায় ফিরতে আরও কয়েকদিন লেগে যাবে। ফলে অফিস শুরু হলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি কম থাকবে। কারণ, আন্তজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঈদে গ্রামে যাওয়া মানুষকে ফিরতে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চলমান বিধি-নিষেধে সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে ব্যাংক। আজ রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে লেনদেন। এর পরবর্তী আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করতে ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। আর দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত।
আগে দেখা গেছে ঈদের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে অফিসপাড়ার তেমন কর্মব্যস্ততা থাকে না। সহকর্মীরা একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। একইভাবে ব্যাংকপাড়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লেনদেনও খুব একটা হয় না। তবে এবার ঈদের ছুটিতে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থল ত্যাগ না করতে সরকার থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তাই ঈদের ছুটি শেষ প্রথম কর্মদিবসে সবার উপস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে বলে জানা গেছে।
তবে অফিসপাড়ায় ঈদের ছুটির পর প্রথম কার্যদিবসে চলবে শুধু আনুষ্ঠানিকতা আর শুভেচ্ছা বিনিময়। একইভাবে ব্যাংকপাড়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লেনদেনও খুব একটা হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।