রাখে আল্লাহ মারে কে? এই ধরনের দাম্ভিকতাই এই অঞ্চলের মানুষের ভরসা। করোনাভাইরাস নিয়ে নেই কোন সতর্কতা। প্রবাসীরা বাড়ি ফিরেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাজারে, কেউ সেরে ফেলছেন বিয়ের কাজও। প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক হলেও বাস্তব চিত্র সম্পুর্ণ উল্টো।
উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শিপন মেহেদী অর্থসংবাদকে জানিয়েছেন বিদেশ ফেরত তালিকায় এ ইউনিয়নে এ পর্যন্ত মাত্র ১৫ জনের নাম রয়েছে। তার মধ্যে কেউই পুরোপুরি হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মানছেন না। এক ঘরেই পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথেই বসবাস করছে।
গত দুই দিন আগে সৌদি আরব ফেরত একজনকে চেয়ারম্যান স্টেশন বাজারে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। একই সাথে এ বাজারে সন্ধার পর জমে উঠে জমজমাট আড্ডা। চায়ের দোকানে আড্ডার আয়োজন দেখে কোনভাবেই বুঝার উপায় নেই এ দেশে করোনাভাইরাসের কোন প্রাদুর্ভাব রয়েছে। অথছ এ মহামারি ভাইরাস সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছে উন্নত বিশ্ব।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউনুস সরকার অর্থসংবাদকে বলেন, আমরা এলাকায় মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করছি। তবে তিনি বলতে পারেননি কতজন প্রবাসী এই মুহুর্তে এ ইউনিয়নে রয়েছে। সন্ধার পরে বিভিন্ন দোকানসহ চায়ের দোকানে দেখা গেছে জমজমাট আড্ডা। চেয়ারম্যান বাজার ও চেয়ারম্যান স্টেশনের বাস্তব চিত্র দেখে বুঝার উপায় নেই যে এ অঞ্চলে করোনাভাইরাস নিয়ে কোন সতর্কবার্তা রয়েছে।
এবিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আল নাসির অর্থসংবাদকে বলেন, আমাদের দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে আমরা তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। কারন করোনাভাইরাস নিয়ে অবহেলা করার সুযোগ নেই