আল-সালেহ মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানান, রোববার বিকেল ৫টা থেকে কারফিউ আরোপ করা হয় ভোর ৪টা পর্যন্ত। ২৬ মার্চ ঘোষিত ছুটি শেষ হওয়ার পর থেকে সরকারি ছুটি আরও দুই সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হয়। কেউ যদি এই আইন অমান্য করে তাকে ৩ বছরের জেল অথবা ১০ হাজার কুয়েতি দিনার জরিমানার বিধান করা হয়েছে।
এদিকে রোববার থেকে বাংলাদেশ দূতাবাস কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুয়েত সরকারের জারিকৃত বিধি নিষেধ এবং দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে চলতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলনে সময় বাড়িয়ে স্কুল মাদরাসা আগামী ৩ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এ ছাড়া পূর্বের নির্দেশনা মোতাবেক দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয় আওকাফ জুমার নামাজের পরিবর্তে ৪ রাকাত জোহরের নামাজ বাসায় আদায় করতে বলা হয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশটিতে দুই সপ্তাহ সাধারণ ছুটি চলছে। এ সময়ে সবধরনের অনুষ্ঠান, সভা সেমিনার যে সব স্থানে লোকসমাগম বেশি হয় সেই সব স্থানসহ সব ধরনের ফ্লাইট, গণপরিবহন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, মসজিদ, বিনোদন কেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বন্ধের আওতায় থাকবে না কার্গো বিমান, কো-অপারেটিভ সোসাইটি, ফার্মেসি, পেট্রল পাম্প, এটিএম বুথ। এ ছাড়া খাবার হোটেলগুলো হোম সার্ভিস ও পার্সেল বিক্রি করতে পারবে; তবে ভেতরে বসে খেতে পারবে না।
এছাড়া জরুরি যে সব দোকানপাট খোলা রয়েছে সে সব দোকানে একসঙ্গে ৫ জনের বেশি ক্রেতা প্রবেশ করতে পারবে না। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতে এবং অধিক লোক একসঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে নিষেধ করা হয়েছে।