বুধবার (১৯ মে) বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এ সভার আয়োজন করে।
বিএফটিআই’র চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (ইনচার্জ) মো. ওবায়দুল আজমের পরিচালনায় আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন।
চুক্তির বিষয়ে আগামী ছয় মাসের মধ্যে সমীক্ষা সম্পন্ন হবে। মূলত স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের দিক থেকেই এ চুক্তির প্রস্তাবটি ছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের বাণিজ্য চুক্তির পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন ব্যবস্থা চালু হলে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও বাড়বে।
বিএফটিআই’র সমীক্ষার মধ্যে থাকবে দুই দেশের মধ্যকার সব ধরনের চুক্তির বিশ্লেষণ, সড়ক, নৌ, রেল ও আকাশ যোগাযোগের অবস্থা-সম্ভাবনা, শুরু থেকে উভয় দেশের বাণিজ্য পরিসংখ্যানের বিশ্লেষণ। এছাড়া শুল্ক ও অশুল্ক বাধার কারণে উভয় দেশের বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে কি-না, শুল্ক স্টেশনগুলোকে কিভাবে আরও বেশি কার্যকর করা যায় ইত্যাদি। ছয় মাসের মধ্যে দুই দেশের আলাদা সমীক্ষা হওয়ার পর তা নিয়ে দর-কষাকষি হবে। ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন শেষে এরপর হবে সিইপিএ চুক্তি।
সভায় অংশগ্রহণ করেন ডিসিআইআই’র সভাপতি রিজওয়ান রহমান, এমসিসিআই’র সভাপতি নিহাদ কবির, বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান, বেসিস’র সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, সিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম, এফবিসিসিআইএ’র সাবেক সভাপতি আবদুল মতলব আহমদ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ-এর চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরীসহ সরকারি খাতের কর্মকর্তারা, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, ভারতীয় বিনিয়োগকারী এবং শিক্ষাবিদরা।
সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. জাফর উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বীকৃতি ঐতিহাসিক বন্ধনকে শক্তিশালী করতে এবং উন্নয়নের আরও সুযোগ তৈরি করতে পারে। সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগের প্রবাহকে বাড়ানোর উপর জোর দেন তিনি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব শওকত আলী ওয়ারেসি পরামর্শক বৈঠকে মূল নোট উপস্থাপন করেন। তিনি তার উপস্থাপনায় বিবিধ খাতের ওপর চিত্র তুলে ধরেন। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রস্তাবিত বিস্তৃত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তিতে (সিইপিএ) যৌথ পরীক্ষার সুবিধা, ভারতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস এবং ভারতে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের সেখানে বিনিয়োগ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
সভায় সব স্টেকহোল্ডাররা আশাবাদী যে প্রস্তাবিত সিইপিএ চুক্তির ফলে দুটি প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার প্রবাহে বিনিয়োগের বাধা দূর হয়ে উচ্চতর বিনিয়োগের দিকে যাবে।