বৃহস্পতিবার (২০ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে গুণীজনদের হাতে স্বাধীনতা পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে। এই ইতিহাস আর কেউ মুছে ফেলতে পারবে না।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে (বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল) ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২১’ দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস মহামারি আকারে সারা বিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে। এর ফলে মানুষের যে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা, তা ব্যাহত হচ্ছে এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি, সমাজের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই মানুষ কিছু কিছু সমস্যায় ভুগছে।
এ অবস্থার মধ্যেই আমরা আমাদের অনুষ্ঠানগুলো করে যাচ্ছি বা আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কাজ যাতে অব্যাহত থাকে, তার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি, যোগ করেন শেখ হাসিনা।
এ বছর স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তরা হলেন- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে প্রয়াত আহসানউল্লাহ মাস্টার, প্রয়াত আখতারুজ্জামান বাবু, প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা একেএম বজলুর রহমান, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশিদ উদ্দিন আহমেদ, সাহিত্যে কবি মহাদেব সাহা, সংস্কৃতিতে চলচ্চিত্রকার-গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও নাট্যজন আতাউর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মৃন্ময় গুহ নিয়োগী, সমাজসেবা বা জনসেবায় অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন।
এছাড়া গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছে।