কানাডার আন্তঃসরকার বিষয়ক মন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাঙ্ক শুক্রবার (২১ মে) বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার কর্মকর্তারা বিশ্বের দীর্ঘতম আন্তর্জাতিক সীমান্ত পুনরায় চালু করার বিষয়ে কীভাবে এগিয়ে যাবেন তা নিয়ে আলোচনা করছেন, যেটি করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে এক বছরের বেশি সময় ধরে অপ্রয়োজনীয় ট্র্যাফিকের জন্য বন্ধ ছিল।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্বীকার করেছি সামনের সপ্তাহগুলোতে যখন টিকা নেওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়বে এবং করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কমা অব্যাহত থাকবে, তখন আমরা ক্রমবর্ধমানভাবে বিষয়গুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারব। আমরা আমেরিকার সীমান্তে চালুর বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছি।
পরিবহন মন্ত্রী ওমর আলঘাবড়া বলেছেন, সরকার কানাডা ও বিদেশের উভয় অবস্থার মূল্যায়ন করছে। সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা, বৈকল্পিক বিস্তার এবং টিকা দেওয়ার হারসহ মেট্রিকগুলোতে মনোনিবেশ করছে। শুক্রবার ভারত ও পাকিস্তান থেকে সরাসরি বিমানের নিষেধাজ্ঞার মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
টিকা দেওয়ার হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে করোনার সংক্রমণ কানাডা-মার্কিন সীমান্তের উভয় প্রান্তে কমে যাওয়ার কারণে ট্রুডোর সরকার ভ্রমণ নিয়ম শিথিল করার জন্য বিকল্প বিষয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনা শুরু করার পর এ মন্তব্য করলেন তিনি। ব্লুমবার্গ নিউজ শুক্রবার এই খবর দিয়েছে।
২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সীমান্ত অনাবশ্যক ভ্রমণকারীদের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে স্থল ও আকাশপথে যাত্রী চলাচল নাটকীয়ভাবে কমে গেছে। এ বিধিনিষেধের বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে কানাডার পর্যটন খাতে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো।