বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মে মাসের প্রথম ২০ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে, তা গত বছরের পুরো মে মাসের অঙ্ককে ছাড়িয়ে গেছে।
জানা যায়, গত বছরের পুরো মে মাসে (৩১ দিনে) রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫০ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। এই হিসাবে ২০ দিনেই পুরো মাসের চেয়ে ৮ কোটি ৪২ লাখ ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গেলো মাস এপ্রিলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২০৬ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার (২.০৬ বিলিয়ন) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ বেশি। গত বছর এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ডলার।
এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে রেকর্ড রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। ওই মাসে প্রবাসীরা প্রায় ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এর আগে কোনও একক মাসে এতো রেমিট্যান্স আসেনি।
তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) রেমিট্যান্স ২ হাজার ৬৭ কোটি (২০ বিলিয়ন) ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। (বাংলাদেশি মুদ্রায় এক লাখ ৭৫ হাজার ৭১২ কোটি টাকা)। এর আগে কোনও অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি বাংলাদেশে।
গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৪৮৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরে ১০ মাসে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৯ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণের রেকর্ড হয়। ওই সময় এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনও প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন সুবিধাভোগী। এতে করে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন প্রবাসীরা।