মঙ্গলবার (২৫ মে) সকালে এ বিষয়ে বারডেম হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এম দেলোয়ার হোসেন গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তি বাদে বাকী একজনেরও মিউকরমাইকোসিসের সব ধরনের উপসর্গ আছে। কিন্তু এখনও কালচার রিপোর্ট পাইনি। তারপরও আমরা তার চিকিৎসা শুরু করে দিয়েছি। কোভিড যতটা ছোঁয়াতে, এটি কিন্তু ছোঁয়াচে নয়।
এদিকে মঙ্গলবার (২৪ মে) মাইক্রোবায়োলজির প্রাথমিক পরীক্ষায় মারা যাওয়া ব্যক্তির নমুনায় মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। আরও একজন উপসর্গ নিয়ে একই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এর আগে রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালে গত ৮ মে ৪৫ বছর বয়সী এক রোগীর এবং পরে গত ২৩ মে ৬০ বছর বয়সী আরেক রোগীর দেহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত হয়।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছত্রাক–জাতীয় এক রোগ, যা প্রধানত কোভিড রোগীদের মধ্যে ছড়াচ্ছে। মাত্রা ছাড়া স্টেরয়েড নিলে, বেশি দিন হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকলে অথবা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের এই ছত্রাকের শিকার হওয়ার আশঙ্কা বেশি। শাকসবজি, মাটি, ফল, একই মাস্ক প্রতিদিন পরা থেকে এই রোগ ছড়ায় বলে সতর্ক করা হয়েছে। উপসর্গ হলো জ্বর, মাথাব্যথা, নাক ও চোখ লাল হয়ে যাওয়া, দৃষ্টি কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, রক্তবমি ইত্যাদি।