মঙ্গলবার (২৫ মে) এক বিবৃতিতে এলডিপির সভাপতি আবদুল করিম আব্বাসী ও মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম এ দাবি জানান।
একই সঙ্গে করদাতা সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য বিশেষ ‘স্বাস্থ্য কার্ড’ প্রবর্তনের প্রস্তাব করে এলডিপির দুই নেতা বলেন, এই স্বাস্থ্য কার্ড তাঁদের সরকারি হাসপাতালে অগ্রাধিকারভিত্তিক চিকিৎসার সুযোগ এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও বিশেষ মূল্যছাড়ের ব্যবস্থা থাকবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে ১৫ থেকে ১৮ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে যে আয়কর দিয়ে থাকেন, সেই আয়কর দেওয়ার পেছনে তাঁদের ব্যক্তিগত বা সামাজিক প্রণোদনা কী? এই প্রশ্ন আজ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শুধু নিবর্তনমূলক একটি ব্যবস্থার মাধ্যমে বাধ্যবাধকতাই কর আদায়ের মূল ভিত্তি হলে করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি ও করের পরিমাণ বৃদ্ধি চিরদিনই এক জায়গায় আটকে থাকবে। বরং করদাতাদের করের বিনিময়ে রাষ্ট্র কী সেবা-সহায়তা নিশ্চিত করছে, তা নিয়ে রাষ্ট্র ও সরকারকে এখনই ভাবা উচিত। এখন শুধু সরকারি কর্মচারীদের পেনশন দেওয়া হয় এবং সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় প্রায় ৩০ লাখ দরিদ্র বয়স্ক পুরুষ-নারীকে ৫০০ টাকা হারে বয়স্ক ভাতা দেওয়া হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এমন অনেক বেসরকারি চাকরিজীবী বা উদ্যোক্তা রয়েছেন, যিনি ৩০-৩৫ বছর কর দিয়েছেন, কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে তাঁর নিজের চিকিৎসাসহ দৈনন্দিন জীবনযাপন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ করলে বর্তমানে প্রদত্ত করব্যবস্থার সঙ্গে তাঁদের পেনশনব্যবস্থার সংযোগ স্থাপন করে এ অনিশ্চয়তার অবসান ঘটানো সম্ভব। করব্যবস্থার সঙ্গে পেনশন ও স্বাস্থ্য বা চিকিৎসার একটি কার্যকর সংযোগ স্থাপন সম্ভব হলে দেশে করদাতার সংখ্যা অনেক গুণে বৃদ্ধি পাবে। তাই অন্তত ১৫ থেকে ২০ বছর নিয়মিতভাবে আয়কর দিয়েছেন এবং ৬৫ বছর বয়স অতিক্রম করেছেন, তাঁদের প্রদত্ত করের আনুপাতিক হারে বাকি জীবনের জন্য অবসর ভাতা দেওয়ার বিষয়টি সরকার বিবেচনায় নিতে পারে। পৃথিবীর অনেক দেশে জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের এমন অনেক সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে।