বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাপ্তাহিক হাট-বাজার, আবাসিক হোটেল, শপিংমল, বাণিজ্য কেন্দ্র, রেস্টুরেন্ট, পার্ক, মেলা, সামাজিক ও ধর্মীয় সব অনুষ্ঠান, ফাস্ট ফুড, স্ট্রিট ফুড, চায়ের দোকানে আড্ডাসহ জনসমাগম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
জনসাধারণের কেনাকাটার সুবিধার্থে জেলা-উপজেলার খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধের দোকান, মুদি দোকান, কাঁচাবাজার, চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে খোলা থাকবে। যেসব প্রবাসী বিদেশ থেকে ফিরে হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন না তাদের বিষয়ে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ফরিদপুর জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে এ পর্যন্ত ১০৪৮ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। পাশাপাশি ২১৮ জনের হোম কোয়ারেন্টাইন মেয়াদ শেষ হয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত পরিস্থিতিতে জেলায় এনজিওগুলোর যৌথসভায় জনস্বার্থে ২৪ মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ফরিদপুর জেলার সব এনজিওর কিস্তি আদায় স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ মার্চ) সকালে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরমানাইর ও চর নাছিরপুর ইউনিয়ন লকডাউন করা হয়েছে। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা ইতোমধ্যে লকডাউন করা হয়েছে। শিবচর উপজেলাসংলগ্ন এলাকা হওয়ায় ওই দুটি ইউনিয়ন লকডাউন করে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে ফরিদপুর জেলায় বিদেশফেরত ব্যক্তিদের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন স্টিকার লাগিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। শহরের বিভিন্ন বাড়ির মূল ফটকে স্টিকার টাঙিয়ে দিচ্ছেন পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা।