বুধবার (২৬ মে) দুপুরে অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক (সিডিসি) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘অপেক্ষা করুন, ধৈর্য ধারণ করুন। ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত টিকা দেওয়ার সুযোগ থাকবে। এর মধ্যেই সরকার সর্বোচ্চ পর্যায়ে চেষ্টা করছে টিকা সংগ্রহের জন্য। আমরা আশাবাদী, এই টিকা সংগ্রহ হবে এবং দ্বিতীয় ডোজ সবাই পেয়ে যাবেন।’
ভারতের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী সব টিকা না আসায় প্রায় ১৫ লাখের মতো মানুষের দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। এ অবস্থায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম অনেকটা গতি হারিয়েছে।
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ রয়েছে, আর দ্বিতীয় ডোজ একেবারেই শেষ পর্যায়ে। দ্বিতীয় ডোজের যে পরিমাণ টিকা রয়েছে তা দিয়ে প্রথম ডোজ নেওয়া সবাইকে টিকা দেওয়া যাবে না।’
বড় সংখ্যার অনেক মানুষ থেকে যাবেন যাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাচ্ছে না, মন্তব্য করে নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, অপেক্ষা করুন, ধৈর্য ধরুন।’
তিনি জানান, একইসঙ্গে চীন থেকে উপহার হিসেবে আসা সিনোফার্মার পাঁচ লাখ ডোজ টিকা মঙ্গলবার (২৫ মে) ৫০১ জন মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে। তাদের কারও কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি। আগামী ৭ থেকে ১০ দিন তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরপর জুন থেকে জুলাই মাসের মধ্যে সিনোফার্মার টিকার প্রথম ডোজের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানান অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম।
দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর থেকে মঙ্গলবার (২৫ মে) পর্যন্ত টিকা দেওয়া হয়েছে মোট ৯৯ লাখ ৪ হাজার ৩১ ডোজ। এর পুরোটাই দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড টিকা। এখন পর্যন্ত দেশে কোভিশিল্ড টিকা এসেছে এক কোটি ২ লাখ ডোজ। সে অনুযায়ী কোভিশিল্ডের অবশিষ্ট মজুত রয়েছে আর মাত্র দুই লাখ ৯৫ হাজার ৯৬৯ ডোজ।