বৃহস্পতিবার (২৭ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে গেলে প্রবাসীদের এক সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তবে তাদের কোয়ারেন্টাইনের জন্য যেসব হোটেল নির্ধারণ করেছে সৌদি সরকার, সেগুলো অনেক ব্যয়বহুল। প্রবাসীদের এসব হোটেলে যেতে আগ্রহ কম। তাই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, প্রবাসীরা সৌদিতে গেলে আমরা সাবসিডি (ভর্তুকি) দেবো। বিষয়টি নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর সঙ্গে আমি আলাপ করেছি।
তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে দুই ডোজ টিকা নেওয়া থাকলে হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকা লাগে না। সেটা বাসায় করতে হয়। তবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর প্রবাসীদের বয়স বেশির ভাগ ২০ থেকে ৪০ এর মধ্যে। আর আমরা টিকা দিচ্ছি ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে। সে কারণে মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের টিকা দিতে বয়স শিথিলের চিন্তা করছি। শুক্রবার আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক আছে, সেখানে এই প্রস্তাব দেওয়া হবে।
ড. মোমেন বলেন, ভারত থেকে যেসব বাংলাদেশি দেশে এসেছেন, তার মধ্যে ১৩ জনের কোভিড আর একজনের ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ধরা পড়েছে। আর এটা নিয়ে প্রচারণা বেশি হচ্ছে। এটা নিয়ে সবাই ভয় পাচ্ছে, যেন বাংলাদেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট খুব বেশি। ফলে বিভিন্ন দেশ রেড অ্যালার্ট দিয়ে রেখেছে। আমাদের ফ্লাইট দিয়েছে বন্ধ করে। এসব দেশ ভাবছে ভারতীয় লোক এখান থেকে যাবে ওদের দেশে, আর এই অসুখ ছড়াবে। তবে সৌদি আরব একমাত্র ওপেন। তবে সৌদি আরবেরও এটা নিয়ে ভয়। তাই বাংলাদেশ থেকে কেউ সৌদি গেলে হোটেলে ৭ দিন কোয়ারেন্টাইন করতে হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ১৭ কোটি লোক। এর মধ্যে একজনের যদি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ধরা পড়ে, এটা নিয়ে আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই।