বাংলাদেশ গবেষণা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিডিরেন) ডাটা সেন্টারে স্থাপিত জুম অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে শিক্ষকদের পাঠদানের ব্যবস্থা করা হবে। আগ্রহী শিক্ষকরা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির মাধ্যমে যোগাযোগ করে এটি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে বিষয়টি সবার জন্য বাধ্যতামূলক করেনি ইউজিসি। সোমবার ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। তা মোকাবিলার লক্ষ্যে শিক্ষকদের অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা উৎসাহিত করতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরও জানান, বিডিরেনের ডাটা সেন্টার ব্যবহার করে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী উভয়েরই শুধুমাত্র ডেক্সটপ কম্পিউটার/ল্যাপটপ অথবা স্মার্টফোন এ তিনটির যে কোনো একটি এবং স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাভাবিক শ্রেণিকক্ষের মতো পাঠদান ও পাঠগ্রহণ কার্যক্রম চালাতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে ই-মেইলের মাধ্যমে বিডিরেনের সাপোর্ট সেন্টারে যোগাযোগ করতে হবে। ই-মেইলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের মোবাইল নম্বরসহ বিস্তারিত পরিচয় দিতে হবে এবং ই-মেইলের কপিতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে রাখতে হবে। বিডিরেন হতে ই-মেইলটির সত্যতা যাচাই করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ তৈরির বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে বিষয়টি অবহিত করা হবে। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্যে বিডিরেনের সাপোর্ট সেন্টারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত হিসেবে প্রতিয়মান হচ্ছে। এছাড়া দেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
এদিকে অনলাইনে দেশের চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞদেরকে দিয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদেরও অন্তর্ভুক্ত করতে চাচ্ছে ইউজিসি। এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অবহিত করবে ইউজিসি।