বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বাজেটে ব্যবসায়ীদের জন্য কোনো সুখবর থাকবে কি না, জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তা জানতে বাজেট ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখনই কোনো তথ্য প্রকাশ করতে পারব না। পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক মানুষকে সঙ্গে রেখেই আমরা এগিয়ে যেতে চাই।’
ক্রয় কমিটির বৈঠকে ছয় লাখ আরটি-পিসিআর টেস্ট কিট কেনা হচ্ছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে (ডিপিএম) নয়টি প্রতিষ্ঠান থেকে এ কিট কিনবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি)। এতে ব্যয় হবে ৫৪ কোটি টাকা। এ ছাড়া স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জন্য আরও একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয় বৈঠকে। এটি হচ্ছে জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইউএনএফপির মাধ্যমে ৪৮টি যানবাহন কেনা। ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ প্রকল্পের আওতায় এগুলো কেনা হচ্ছে। প্রকল্পটিতে সরকার, বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) যৌথ অর্থায়ন রয়েছে। প্রস্তাবটিতে ১ হাজার ১৫৪ জন জনবল নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ও রয়েছে।
ভোলায় ৬৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি কূপ খননের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে বৈঠকে। এ ছাড়া ‘গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে পণ্য পরিবহনের উৎসমুখে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। কাজ পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ার এসএমইসিআই ইন্টারন্যাশনাল এবং সুইডিশ ন্যাশনাল রোড কনসাল্টিং, বাংলাদেশের এসিই কনসাল্টস ও বিসিএল অ্যাসোসিয়েটসের জয়েন্ট ভেঞ্চার। এতে ৪৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য ৬৫৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে কমিউনিকেশন, নেভিগেশন অ্যান্ড সার্ভিল্যান্স-এয়ার ট্রাফিক সিস্টেম কেনার একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। ফ্রান্সের তালিস এলিনিয়ার থেকে সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পর্যায়ে এসব সরঞ্জাম কিনবে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ নদীতীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং প্রকল্পের আওতায় ৬ দশমিক ৩ কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণের কাজ এবং ১৪ দশমিক ৭৫০ কিলোমিটার খননের কাজ করবে খুলনা শিপইয়ার্ড। এতে ৩৬৭ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, সরকারি ক্রয়কাজের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আরও বেশি দরদাতা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার একটি প্রস্তাবও তোলা হয়েছিল বৈঠকে। অর্থসচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।
টিকা কেনার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। মন্ত্রণালয় নিজেই এখন অনেক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।