হেরেও সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

হেরেও সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
আগের দুই ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে করে ফেলেছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে তামিম, সাকিব, নাঈম, আফিফরা দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে পারলে হোয়াইট ওয়াশ করা যেত লঙ্কানদের। তবে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি টাইগারদের। শেষ ম্যাচে সান্ত্বনার জয় পেল লঙ্কানরা।

শুক্রবার (২৮ মে) টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুশল পেরেরা। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট পর টস হয়।

বাংলাদেশের এই ম্যাচে দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে। লিটন দাসের পরিবর্তে একাদশে জায়গা পান নাইম শেখ। এছাড়াও ইনজুরির কারণে এ ম্যাচে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন না থাকায় তার পরিবর্তে একাদশে ছিলেন তাসকিন আহমেদ।

অপরদিকে চার পরিবর্তন নিয়ে নামে শ্রীলঙ্কা। উইকেটরক্ষক হিসেবে ফেরেন নিরোশান ডিকওয়েলা। এছাড়া তিনজন ক্রিকেটারের অভিষেক হয় এ ম্যাচে। রমেশ মেন্ডিস, চামিকা করুনারত্নে এবং বিনুরা ফারনান্দোর অভিষেক হয় এই ম্যাচে।

মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করেন লঙ্কানরা। বৃষ্টির শঙ্কা মাথায় রেখে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার কুশল পেরেরা ও গুনাথিলানাকা।

প্রথম দুই ম্যাচে উইকেটের দেখা না পেলেও তাসকিন এদিন নিজের দ্বিতীয় ওভারেই তুলে নিলেন দুটি উইকেট। তাসকিনের এক ওভারে জোড়া উইকেট হারানোর পর শ্রীলঙ্কার ইনিংসের হাল ধরেন কুশল পেরেরা ও কুশল মেন্ডিস। তাদের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ২৫ ওভারের মধ্যেই দেড়শ’ রান করে ফেলেন তারা। পেরেরা-মেন্ডিসের জুটিতে ৬৮ রান হওয়ার পর ইনিংসের ২৬তম ওভারে তৃতীয়বারের মতো আঘাত হানেন তাসকিন। এদিন তাসকিন আঘাত হানেন ৪ বার। তবে দারুণ ব্যাট করে সেঞ্চুরি হাঁকানো কুশল পেরেরাকে ব্যক্তিগত ১২০ রানে আউট করেন শরিফুল।

শেষ পর্যন্ত ধনাঞ্জায়ে ডি সিলভার অপরাজিত ৫৫ রানের ওপর ভর করে ২৮৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় লঙ্কানরা। পেরেরার ব্যাটে ভর করে ২৮৭ রানের বড় টার্গেট দেয় সফরকারী শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন টাইগাররা।

মাত্র ৯ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা। ইনিংসের ৩৮তম বলে আসে প্রথম বাউন্ডারি! সেটি হাঁকান তামিম ইকবাল। এই তামিম ইকবালকেই দলীয় ২৮ রানে কিপারের গ্লাভসবন্দি করেন চামিরা। তামিম রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি।

পুরো সিরিজে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা মুশফিকুর রহিমও এদিন ইনিংস বড় করতে পারেননি। লঙ্কান বোলারদের বিপক্ষে ধুঁকতে ধুঁকতে ৫৪ বলে ২৮ রান করে তিনি রমেশ মেন্ডিসের বলে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার তালুবন্দি হন। ৮৪ রানে ৪র্থ উইকেটের পতনে ভাঙে ৫৬ রানের জুটি। আসা-যাওয়ার মাঝেই ৬৯ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন মোসাদ্দেক। অবশ্য ৫১ রানে তার বিদায়ে বাংলাদেশের ইনিংসের অর্ধেক শেষ হয়।

এরপর ৬ষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে হাসরাঙ্গা ডি সিলভার শিকার হয়ে ফিরেন আফিফ হোসেন (১৬)। চামিরার করা পরের ওভারের চতুর্থ বলে মেহেদি হাসান মিরাজ ফিরেন ‘ডাক’ মেরে। ওই ওভারের শেষ বলে ফিরে যান তাসকিন (০)। এই নিয়ে চামিরার নামের পাশে যোগ হয় ৫ উইকেট। ৩৯ ওভারে দলীয় ১৬২ রানে পতন হয় ৮ উইকেটের। পরাজয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। সময়টাও চলে আসে দ্রুত। শরিফুল আউট হন ৮ রানে। এর মাঝেই মাহমুদউল্লাহ ৬২ বলে ফিফটি তুলে নেন। তিনিই শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ৬৩ বলে ৫৩ রান করে আউট হলে ৪২ ওভার ৩ বোলে ১৮৯ রানে প্যাকেট হয় বাংলাদেশ। ৯ ওভারে মাত্র ১৬ রানে ৫ উইকেট নেন চামিরা। ২টি করে উইকেট নেন হাসরাঙ্গা আর রমেশ মেন্ডিস।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পা-বিহীন টিকটিকিসহ শতাধিক নতুন প্রজাতির আবিষ্কারের বছর ২০২৩
গলাব্যথা সারাতে কেন লবণ-পানি পান করবেন
থার্টিফার্স্টে মেট্রোরেলের আশপাশে ফানুস না ওড়ানোর অনুরোধ
মাশরাফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন সোহান
ঢাবির অধীনে এডুকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ
আজ পীরগঞ্জ যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
প্রকৃতি ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে হবে
দুই বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো সৌদি
প্রথম দিনেই ‘সালার’ আয় ১৭৫ কোটি
টানা তিন বছর মুনাফা না থাকলে ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা নয়