ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশে অর্থাৎ পশ্চিমা বিশ্বে এই মাদক প্রচলনের কথা শোনা গেলেও বাংলাদেশে এটি একেবারেই নতুন। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) দেশে প্রথমবারের মতো এলএসডি উদ্ধারের কথা দাবি করেছে।
তবে আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে, ভয়াবহ এই মাদকসহ যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের একজন প্রায় এক বছর ধরে এলএসডির সঙ্গে পরিচিত। নিজে ব্যবহারের পাশাপাশি এলএসডি নিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন বন্ধুদেরও। এরইমধ্যে বন্ধুরা মিলে ফেসবুকে গ্রুপ খুলে এলএসডি বিক্রির তথ্যও পাওয়া গেছে। শনাক্ত হওয়া একটি ফেসবুক গ্রুপেই সদস্য সংখ্যা প্রায় এক হাজার।
ডিবি পুলিশের ধারণা, দামি ও দুষ্প্রাপ্যতার কারণে এলএসডি এখনো উচ্চবিত্ত তথা বিভিন্ন কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পর্যায়ের ক্রেতাতেই সীমাবদ্ধ। বিষয়টি এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত না হলেও অনুসন্ধান অব্যাহত রাখার কথা জানানো হয়েছে। তদন্তে সরবরাহ কিংবা ভোক্তা পর্যায়ে যাদেরই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাকেই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
বুধবার (২৬ মে) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি ও লালমাটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এলএসডিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে ডিবি রমনা বিভাগ। এসময় তাদের কাছ থেকে ২০০ ব্লট এলএসডি উদ্ধার করা হয়, যার মূল্য আনুমানিক ছয় লাখ টাকা।
গ্রেফতাররা হলেন- সাদমান সাকিব ওরফে রূপল (২৫), আসহাব ওয়াদুদ ওরফে সূর্য (২২) ও আদিব আশরাফ (২৩)। যারা প্রত্যেকেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।