অর্থাৎ পাঁচটি মামলার মধ্যে একটি খারিজ হয়েছে, বাকি চারটি চালিয়ে যাওয়ার রায় দিয়েছেন নিউ ইয়র্কের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট (এসডিএনওয়াই)।
আরসিবিসি ছাড়াও সোলায়ার রিসোর্ট ও ক্যাসিনো, মাইডাস রিসোর্ট ও ক্যাসিনো এবং অন্যদের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দায়ের করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ চুরির বিষয়ে ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ তুলেছিল, টেকনিক্যাল বিষয় বিবেচনায় সেই অভিযোগ ফেডারেল কোর্ট গ্রহণ করেননি। ফলে আরসিবিসি, সোলায়ার, মাইডাস এবং অন্য বিবাদীদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, চুরি, রূপান্তর ও অন্য অভিযোগগুলোর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে নিউ ইয়র্ক স্টেট আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে। গত শুক্রবার ওই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
সোমবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন (আরসিবিসি), সোলায়ার রিসোর্ট ও ক্যাসিনো, মাইডাস রিসোর্ট ও ক্যাসিনো এবং অন্যদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা মামলার বিপরীতে বিবাদীদের করা আবেদন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোটর্ খারিজ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করার পূর্বেই মামলার বিষয়বস্তু সংশ্লিষ্ট কোর্টের এখতিয়ার বহির্ভূত মর্মে আরসিবিসিসহ অন্যরা পাল্টা মামলা দায়ের করে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলাটি খারিজের আবেদন করে। সেই মামলার দীর্ঘ শুনানির পর আরসিবিসিসহ অন্যদের আবেদন ফোরাম নন-কনভিনিয়েন্স ডকট্রিন অনুযায়ী আদালত খারিজ করে দিয়েছে এবং মামলাটি নিউ ইয়র্কের স্টেট আদালতে করা যাবে বলে রায় দিয়েছে। এর অর্থ হলো, মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নৈতিক জয় হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই আইনজীবীদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মামলা করা সম্ভব হবে।