রোববার (৩০ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কবে নাগাদ এবং কাদের এই টিকা দেওয়া হবে সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। টিকাদান সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন।
দরিদ্র দেশগুলোর টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিতে গঠিত আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনের (গ্যাভি) কাছ থেকে ফাইজারের এ টিকা আসছে। প্রাণঘাতী ও সংক্রামক ব্যাধি থেকে দরিদ্র দেশগুলোর শিশুদের জীবনরক্ষায় টিকা প্রদানে ভূমিকা রাখা গ্যাভি বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ৯২টি দেশকে করোনাভাইরাসের টিকা সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। দরিদ্র দেশগুলোর টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে গঠন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স।
বাংলাদেশ করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় ১৩ কোটির বেশি মানুষকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। কোভ্যাক্স থেকে ছয় কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ।
চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যেই কোভ্যাক্স থেকে টিকা পাওয়া শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিশ্বজুড়ে টিকার সংকট তৈরি হওয়ায় তা পিছিয়ে যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্রমতে, এ পর্যন্ত দেশে টিকা এসেছে সেরাম থেকে কেনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৭০ লাখ ডোজ। একই প্রতিষ্ঠানে তৈরি একই টিকার আরও ৩৩ লাখ ডোজ ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে উপহার দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে চীন সরকারের পক্ষ থেকে উপহার পাওয়া গেছে সিনোফার্মের ৫ লাখ ডোজ টিকা। এরপর আরও ৬ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেবে বলে জানিয়েছে চীন।