চিঠিতে বলা হয়, এই ছয়জনের ‘একক বা যৌথ নামে অথবা তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে আমানত হিসাব (এফডিআর ও এসটিডি হিসাবসহ যে কোন ধরনের বা নামের মেয়াদী আমানত হিসাব), যে কোন ধরনের বা মেয়াদের সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ হিসাব, ফরেন কারেন্সি হিসাব, ক্রেডিট কার্ড, লকার বা ভল্ট, সঞ্চয়পত্র বা অন্য যে কোন ধরনের সেভিংস ইনস্ট্রুমেন্ট, ইনভেস্টমেন্ট স্কিম বা ডিপোজিট স্কিম বা অন্য যে কোন ধরনের বা নামের হিসাব পরিচালিত বা রক্ষিত হয়ে থাকলে তা দিতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে এসব হিসাব ২০১৪ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য আগামী সাত দিনের মধ্যে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ১১৩ (এফ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তথ্য দিতে অনুরোধ করা হয়। তবে এ সময়ের মধ্যে বা পূর্বে হিসাব শুরু হয়ে ২০১৪ সালের ১ জুলাই সময়ের মধ্যে হিসাব বন্ধ হয়ে গেলে অথবা শেষ হয়ে গেলে অথবা সুপ্ত অবস্থায় থাকলেও তথ্য দিতে বলা হয়েছে।’
সূত্রমতে, প্রক্টর প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মামুন-অর-রশীদ ও রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন মুন সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুস সোবহানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে সব কাজের সহযোগী ছিলেন। এর মধ্যে ভিসি সোবহানের দেওয়া বিতর্কিত ১৪১ নিয়োগের মধ্যে মন্নুজান হলের আবাসিক শিক্ষিকা হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন মুনের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা। গণনিয়োগের আরেক কুশীলব ও প্রফেসর সোবহানের ডানহাত খ্যাত সহকারী রেজিস্ট্রার মামুন অর রশীদের ভাই ফারহানুল ইসলাম মামুনও চাকরি পেয়েছেন।
এর আগে ভিসি আব্দুস সোবহানের বিতর্কিত ১৪১ জন এবং আগের ৩৪ জন শিক্ষকসহ অবৈধভাবে দেওয়া মোট ১৭৫ জনের নিয়োগ বাতিলসহ ৯টি সুপারিশ দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। ২৩ মে রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত ৬ মে শেষ কার্যদিবসের আগের রাতে ৯ জন শিক্ষকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিভিন্ন পদে মোট ১৪১ জনকে নিয়োগ দেন ভিসি সোবহান। এর আগে ভিসি সোবহান উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নীতিমালা সংশোধন করে নিজের মেয়ে জামাতাসহ অবৈধ উপায়ে আরও ৩৪ জন শিক্ষককে নিয়োগ দেন। তদন্ত কমিটি এসব নিয়োগকে অবৈধ অ্যাখ্যা দিয়ে মোট ১৭৫ নিয়োগ বাতিলের সুপারিশ দিয়েছেন।