এই সময়ে ৮টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়েছে। ৫টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত এবং ১ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া ঈদে ঘরমুখো যাত্রায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে ফেরি থেকে হুড়োহুড়ি করে নামার দুটি ঘটনায় ৬ জন নিহত এবং ৩১ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের মাসিক দুর্ঘটনা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। ৭টি জাতীয় দৈনিক, ৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান।
যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরবাইক চালক ও আরোহী ২১৭ জন (৩৮.৬১%), বাস যাত্রী ৯ জন (১.৬০%), ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি যাত্রী ৩৭ জন (৬.৫৮%), মাইক্রো বাস-প্রাইভেট কার-অ্যাম্বুলেন্স যাত্রী ৩২ জন (৫.৬৯%), থ্রি-হুইলার যাত্রী (সিএনজি-ইজিবাইক-অটো রিকশা-টেম্পু) ৭৮ জন (১৩.৮৭%), নসিমন-ভটভটি-মাহিন্দ্র-চান্দের গাড়ি যাত্রী ৩৪ জন (৬.০৪%) এবং প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান-বাইসাইকেল আরোহী ৮ জন (১.৪২%) নিহত হয়েছে।
দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৭৯টি (৪০.৫৮%) জাতীয় মহাসড়কে, ১৫৮টি (৩৫.৮২%) আঞ্চলিক সড়কে, ৬৩টি (১৪.২৮%) গ্রামীণ সড়কে, ৩৫টি (৭.৯৩%) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৬টি (১.৩৬%) সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনার ধরন
দুর্ঘটনাসমূহের ৭১টি (১৬.০৯%) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৬৯টি (৩৮.৩২%) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১৪৮টি (৩৩.৫৬%) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ৪৪টি (৯.৫৭%) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ৯টি (২.০৪%) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহন
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিক আপ ২৬.০৭ শতাংশ, ট্রাক্টর-ট্রলি-রেকার ৩.২৫ শতাংশ, মাইক্রো বাস-প্রাইভেট কার-অ্যাম্বুলেন্স-জিপ ৭.৯৫ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ৫.০৮ শতাংশ, মোটরবাইক ৩০.৬৩ শতাংশ, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটো রিকশা-অটো ভ্যান-লেগুনা-টেম্পু) ১৮.৩৮ শতাংশ, নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহিন্দ্র-চান্দের গাড়ি ৬.৫১ শতাংশ এবং প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান-বাইসাইকেল ২.০৮ শতাংশ।